ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

ইংরেজিতে এলো ঢাকা লিট ফেস্টে গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’

ইংরেজিতে এলো ঢাকা লিট ফেস্টে গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কবি-সাহিত্যিকদের নিয়ে ঢাকায় শুরু হওয়া লিট ফেস্টের মঞ্চে উন্মোচিত হল গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’র ইংরেজি সংস্করণ।

বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার লিট ফেস্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন সিরিয়ার কবি আলী আহমদ সাঈদ আসবার, যিনি সাহিত্য অঙ্গনে কবি অ্যাডোনিস নামে পরিচিত।

বইটির প্রকাশক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

গ্রাফিক নভেলের মোড়ক উন্মোচনের পর ওই মঞ্চেই ‘মুজিব: টেকিং হিস্টোরি টু দ্য নেক্সট জেনারেশন’ শিরোনামে আলোচনা হয়। এতে রাদওয়ান ছাড়াও যুক্তরাজ্যের ‘গ্রান্টা’ জার্নালের অনলাইন সম্পাদক লুক নেইমা, গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’র কার্টুনিস্ট সৈয়দ রাশেদ ইমাম তন্ময় এবং ইউল্যাবের শিক্ষক আর্জু ইসমাইল আলোচনা করেন।

রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক বলেন, নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তুলে ধরার লক্ষ্য নিয়ে গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’র কার্যক্রম হাতে নেন তারা।

সব শ্রেণির পাঠকের কথা মাথায় রেখে এই নভেলের তিনটি বাংলা পর্ব প্রকাশের পর এবার প্রথম পর্বটি প্রকাশ করা হয়েছে ইংরেজিতে। ইংরেজি সংস্করণে ভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রে দেশি-বিদেশি উভয় শ্রেণির পাঠকের কথা মাথায় রেখেছেন তারা।

বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ অবলম্বনে গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’ মোট ১২ পর্বে প্রকাশিত হবে জানিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান বলেন, “আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন আমার স্কুলের বন্ধুদের কাছে নানার (বঙ্গবন্ধু) সম্পর্কে বিভিন্ন কথা বলতাম। কিন্তু তারা সে সময় তার সম্পর্কে কোথাও কিছু খুঁজে পেত না। ছয় বছরের একটা ছোট শিশুর জন্য বিষয়টা মোটেও স্বস্তিদায়ক ছিল না।

“সে সময় নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু বা ইন্দিরা গান্ধী সম্পর্কে গ্রাফিক নভেল ছিল। আমিও ভাবতাম, আমার নানা সম্পর্কে এমন কিছু থাকলে বন্ধুদের হাতে তুলে দিতে পারতাম। কিন্তু তখন আমি অনেক ছোট। এর অনেক বছর পর ২০১১ সালে দেশে ফিরে এলাম। আর তখন আবারও আমার মাথায় এই ভাবনাটি উঁকি দেয়। নতুন প্রজন্মের কাছে তাকে তুলে ধরার এর থেকে ভালো আর কী উপায় হতে পারে?”

বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মা শেখ রেহানার দৃষ্টিতে যাতে কোনো ত্রুটি ধরা না পড়ে সে বিষয়ে সতর্ক থেকে এই গ্রাফিক নভেল তৈরি করতে হয়েছে বলে জানান রাদওয়ান।

তিনি বলেন, “এমন বড় মাপের একজন ব্যক্তি সম্পর্কে গ্রাফিক নভেল তৈরির ক্ষেত্রে আমাদের বেশ সাবধান থাকতে হয়েছিল। এর সবচেয়ে ‘ক্রিটিকাল’ দুই পাঠক হলেন বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে।

“আমাদের প্রাথমিক কাজ শেষে তাদের কাছে গ্রাফিক নভেলটি উপস্থাপন করা হলে অধিকাংশ বিষয়ে তারা সম্মতি দিলেও পিতার চুলের গঠন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। এমন বেশ কিছু সংশোধন শেষে আমরা গ্রাফিক নভেলের কাজটি শেষ করতে পেরেছি।”

সৈয়দ রাশেদ ইমাম তন্ময় বলেন, “বিষয়টি স্বপ্নের মতো ছিল। এত বড় মাপের একজন মানুষকে আঁকতে গিয়ে, নিজস্ব আঁকার স্টাইল পরিবর্তন করতে হয়েছে। আমি সাধারণত কার্টুন চরিত্র আঁকতাম। কিন্তু এখানে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন বয়সের ছবির সঙ্গে মিলিয়ে আঁকার চেষ্টা করেছি। এর জন্য দীর্ঘদিন কাজ করতে হয়েছে।”

গ্রাফিক নভেলের ইংরেজি সংস্করণ প্রকাশ করেছে ঢাকা ট্রান্সলেশন সেন্টার।

//ইইউ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত