ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

মাছ ধরার ধুম পড়েছে রূপগঞ্জে

  রূপগঞ্জ সংবাদদাতা

প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০১৭, ১৬:১৬

মাছ ধরার ধুম পড়েছে রূপগঞ্জে

বর্ষা চলে গেছে। শুকনো মৌসুম শুরু হওয়ায় রূপগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার খাল বিল, নদী নালা পুকুর, ডোবার পানি দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। সেই সঙ্গে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে মাছ ধরার ধুম পড়েছে। উপজেলার প্রায় প্রতিটি এলাকাতেই মাছ ধরার উৎসব চলছে। আজ শুক্রবার। সরকারি ছুটির দিন। সব কিছু বন্ধ। তাই অনেকেই গ্রামের বাড়িতে এসেছেন মাছ শিকার করতে। ভোর হতে না হতেই শুরু হয় মাছ ধরার পালা। চলে রাত্র অবধি। শিশু কিশোর থেকে শুরু করে আবালবৃদ্ধবনিতা সকলেই মাছ ধরার উৎসবে মেতে ওঠেছে। কেউ কনি জাল, কেউ উৎলা জাল, কেউ পলো, কেউ চ্যাই, কেউ খড়া, কেউবা টেঁটা হাতে নিয়ে এবং শিশু কিশোররা খালি হাতেই নেমে পড়ছে খালে বিলে মাছ ধরতে।

যেখানে পানি কম সেখানে সেচের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার পর মৎস্য শিকারিরা খালে বিলে নামছে। দুপুর পর্যন্ত চলে মাছ ধরার এই প্রক্রিয়া। অনেক সময় এই প্রক্রিয়াই বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যায়ও পৌছায়। নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত মাছ আশেপাশে ও স্থানীয় হাটে বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছে মাছ শিকারিরা। অনেক সময় পাইকাররা এসব শখের মাছ শিকারিদের নিকট থেকে মাছ কিনে ঢাকার বিভিন্ন বাজারেও বিক্রি করছে।

পুরো শীত মৌসুমেই রূপগঞ্জের প্রতিটি গ্রামেই মাছ ধরার এই চিত্র চোখে পড়ে। মাছ ধরায় সামিল হতে পেড়ে শিশু কিশোরদের মনে প্রচুর আনন্দ। কাঁদা মাটিতে সারা শরীর মাখামাখি করে তারা মাছ ধরার আনন্দে বিভোর থাকে। বড়দের বকুনিও তাদের দমাতে পারেনা। নগর পাড়া গ্রামের মৎস্য শিকারি বিল্লাল হোসেন বলেন, মাছ ধরি শখের বশে। কুনি জাল অথবা বর্শি দিয়ে মাছ ধরতে বেশি খরচপাতি হয়না। এতে নিজের পরিবারের খাবার চলে যায়। অতিরিক্ত মাছ স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে বাড়তি কিছু আয়ও হয়।

আরেকজন মাছ শিকারি জাকির হোসেন বলেন, কাজের ফাঁকে অবসর সময়ে বর্শি দিয়ে মাছ ধরি। বাজার থেকে মাছ কিনতে হয় না, বরং নিজের প্রয়োজন মিটিয়ে বাড়তি মাছ বাজারে বিক্রি করে বাড়তি কিছু আয় করা যায়। ভালই লাগে। মাছ ধরার মধ্যে একটা আনন্দ আছে। কৈ, শিং, দেশী পুটি, মাগুর, চিংড়ি, মলা ডেলা জাতের মাছই ধরা পড়ে বেশি। তাছাড়া টেংরা-বজুরী, খইলশা, শোল, টাকি, বোয়াল, বাইম, রুই, কাতলা, সিলভার কার্প মাছও অনেকে ধরছে।

বর্ষাকালে ফিশারিসহ বিভিন্ন জলমহলের মাছ ভেসে গিয়ে ডোবা, পুকুর, খাল, বিলে ও নিচু জলাভুমিতে আশ্রয় নেয়। পরে শুকনো মৌসুমে সেইসব মাছ স্থানীয় জেলেদের হাতে ধরা পড়ে। বর্তমানে উপজেলার গ্রামগঞ্জে প্রচুর মাছ পাওয়া যাচ্ছে এবং অন্যান্য সময়ের চেয়ে দামেও অনেকটা সস্তা।

/ইইউ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত