ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

গাজীপুরে ভাগ্নি হত্যার দায়ে মামার মৃত্যুদণ্ড

  গাজীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০১৭, ১৩:৫৩  
আপডেট :
 ২২ নভেম্বর ২০১৭, ১৪:০১

গাজীপুরে ভাগ্নি হত্যার দায়ে মামার মৃত্যুদণ্ড

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সাত বছরের ভাগ্নিকে গলা কেটে হত্যার দায়ে মামাকে মৃত্যুদণ্ড এবং অপর দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার সকালে গাজীপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক একেএম এনামুল হক এ রায় ঘোষণা করেন।

রাস্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট হারিছ উদ্দিন আহম্মদ, আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শাহ মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম ও ওয়াহিদুজ্জামান আকন (তমিজ)।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত মো. রিপন মিয়া (৩৩) শ্রীপুর উপজেলার চকপাড়া এলাকার হাসমত আলীর ছেলে। আদালত তাকে ১০ টাকা হাজার জরিমানাও করেছে।

যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন - বগুড়া সদর উপজেলার ভাটকান্দি গ্রামের মো. রহিমের ছেলে রবিউল ইসলাম (২০) ও শেরপুরের ঝিনাইগাতী থানার দিঘিরপাড় এলাকার মো. মোস্তফার ছেলে মো. মোজাফ্ফর (১৯)।

এ দুইজনকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। রায় ঘোষণার সময় সাজাপ্রাপ্ত তিন আসামি আদালতের কাঠগড়ায় ছিলেন।

গাজীপুর আদালতের পরিদর্শক মো. রবিউল ইসলাম জানান, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে রিপন মিয়া তার দুই সহযোগীকে নিয়ে আপন ভাগ্নি নাজমীনকে হত্যা করে।

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ছলিং মোড় (চকপাড়া) এলাকার হাসমত আলীর মেয়ে আছমা বেগম তার প্রথম ঘরের দুই কন্যাসন্তান নাসরিন (১৮) ও নাজমীনকে (৭) বাপের বাড়ি রেখে অন্যত্র বিয়ে করেন। তার বাপের বাড়ির সঙ্গে প্রতিবেশী করিম গংদের জমিসংক্রান্ত বিরোধ ছিল।

২০১৫ সালের ২৯ অক্টোবর আছমার মা মিনুজা বেগম ও মেয়ে নাজমীনকে বাড়ি রেখে বাবা হাসমত আলী টাঙ্গাইল বেড়াতে যান। এ দিন রাত আড়াইটার দিকে নানির সঙ্গে ঘরে ঘুমিয়ে থাকা মেয়ে নাজমীনকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে উঠানে গলা কেটে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় আছমা বেগম বাদী হয়ে ৩০ অক্টোবর প্রতিবেশী আব্দুল করিম, আব্দুল কাদির ও আব্দুল মোতালেবকে আসামি করে শ্রীপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।

পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই খন্দকার আমিনুর রহমান মামলার তদন্ত করে নিহতের আপন মামা মো. রিপন মিয়া ও তার দুই সহযোগী রবিউল এবং মোজাফফরকে গ্রেফতার করে।

রিপন মিয়াসহ দুই সহযোগী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দিতে রিপন মিয়া স্বীকার করেন, পূর্বশত্রুতা ও জমিসংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষ করিম গংদের ফাঁসাতেই তিনি তার ভাগ্নিকে হত্যা করেন।

এ মামলায় আট সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

/এসবি/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত