ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সরাতে জমি দেবে সরকার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০১৭, ১৬:৩৭
নদী দখল করে গড়ে তোলা বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নিতে অন্য জায়গায় সেসব প্রতিষ্ঠানকে জমি দেবে সরকার। এছাড়া দখল ঠেকাতে জরিপ চালিয়ে সারা দেশে নদীর সীমানা পিলার স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এ সংক্রান্ত টাস্কফোর্স।
নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের সভাপতিত্বে বুধবার সচিবালয়ে নদীর দূষণ রোধ ও নাব্যতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের ৩৬তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়।
সভা শেষে নৌমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান- যেমন মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির এমনকি একটি দরবার শরীফও নদীর মধ্যে জায়গা দখল করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেইসব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ইমাম, কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট অন্যদের সঙ্গে আমাদের কর্মকর্তারা বসেছেন, আলোচনা করেছেন। সকলেই একমত হয়েছেন যে স্থানান্তরের জন্য তাদের একটা জায়গা দরকার। আমরা যদি তাদের জায়গা দিতে পারি তাহলে তারা মসজিদ, মাদ্রাসা এবং মন্দির যেগুলো নদীর মধ্যে স্থাপন করেছে, সেগুলো স্থানান্তর করে নেবেন।
জেলা পর্যায়ে নদী দখল করে স্থাপন করা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সরতে ওইসব প্রতিষ্ঠানকে সরকারি বা খাস জমি বরাদ্দ দিতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান নৌমন্ত্রী।
সীমানা নির্ধারণে নদী জরিপের কাজ অব্যাহত থাকবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, জরিপ না থাকায় নদীর অনেক জায়গা অনেকে দখল করেছে, জরিপ শেষ হলে সারা দেশে পিলার স্থাপনের কাজ শুরু হবে।
নদী দখলকারীদের মধ্যে অনেক ‘প্রভাবশালী’ থাকায় দখলদারদের উচ্ছেদে সরকারি কর্মকর্তাদের বেগ পেতে হয় বলে মন্তব্য করেন নদীরক্ষা সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের প্রধান শাজাহান খান।
শাজাহান খান জানান, ঢাকার চারপাশের নদীগুলোতে ২০ কিলোমিটার হাঁটার রাস্তা (ওয়াকওয়ে) নির্মাণ করা করা হয়েছে। আরও ১৫০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণের কাজ প্রক্রিয়াধীন।
উদ্ধার হওয়া জায়গা যেন পুনরায় দখল না হয় তা তদারকি করতে বিআইডব্লিউটিএ এবং ওয়াসাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ছাড়াও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।