ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

রূপাকে ধর্ষণ-হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি হয়নি

  টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০১৭, ১৬:৩৬

রূপাকে ধর্ষণ-হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি হয়নি

আসামিপক্ষের সময় আবেদন মঞ্জুর করায় চলন্ত বাসে রূপা খাতুনকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার অভিযোগপত্র গঠনের শুনানি হয়নি।

বুধবার টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এ শুনানি হওয়ার কথা ছিল।

টাঙ্গাইলের মধুপুরে ঢাকার আইডিয়াল ‘ল’ কলেজের শিক্ষার্থী রুপা খাতুনকে চলন্তবাসে গণধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দ্বিতীয়বারের মতো অভিযাগ গঠনের শুনানির তারিখ পিছিয়েছে। পাঁচ পরিবহন শ্রমিকের বিরুদ্ধে আনা মামলাটি টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে বুধবার অভিযাগ গঠনের নির্ধারিত দিন ধার্য ছিল। কিন্তু বুধবার আসামীপক্ষ আদালতের কাছে আরো সময় চেয়ে আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে আদালতের বিচারক আব্দুল মানান চাঞ্চল্যকর এই মামলার অভিযোগ গঠন বিষয়ক শুনানির পরবর্তী তারিখ দিয়েছেন আগামী ২৯ নভম্বর।

আদালত সূত্র জানায়, গত ১৫ অক্টোবর অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মধুপুরের অরণখোলা ফাঁড়ির পরিদর্শক কাইয়ুম খান সিদ্দিকী টাঙ্গাইল বিচারিক হাকিম আদালতে অভিযাগপত্র দাখিল করেন।

টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক আনায়ারুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত ছোঁয়া পরিবহনের সহকারি শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯) এবং চালক হাবিবুর (৪৫) ও সুপারভাইজার সফর আলীর (৫৫) বিরুদ্ধ ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের (সংশাধিত ২০০৩) ৯-এর ৩ ধারায় গণধর্ষণ, দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় হত্যার, ২০১ ধারায় লাশ গুম এবং ৩৪ ধারায় সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে চার্জশীট। এতে ৩২ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। এদের মধ্যে পুলিশ, চিকিৎসকসহ পাঁচ/ছয়জন সরকারি কর্মকর্তা রয়েছেন।

গত ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রূপা খাতুনক চলন্তবাসে পরিবহন শ্রমিকরা পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে তাকে হত্যা করে টাঙ্গাইলের মধুপুর বন এলাকায় ফেলে রেখে যায়। পুলিশ ওই রাতেই রূপার লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে পরদিন বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।

এ ঘটনায় অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বাদি হয়ে মধুপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর রূপার ভাই ২৮ আগস্ট মধুপুর থানায় এসে লাশের ছবি দেখে সনাক্ত করেন। পরে পুলিশ ছোঁয়া পরিবহনের চালক হাবিবুর (৪৫), সুপারভাইজার সফর আলী (৫৫) এবং সহকারি শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীরকে (১৯) গ্রেপ্তার কর।

পুলিশের কাছ তারা রূপাক ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে। গত ২৯ আগস্ট বাসের তিন সহকারি শামীম, আকরাম, জাহাঙ্গীর এবং গত ৩০ আগস্ট চালক হাবিবুর এবং সুপারভাইজার সফর আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। বর্তমান আসামীরা সবাই টাঙ্গাইল কারাগার আছে।

এদিকে গত ১২ সেপ্টেম্বর ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন চিকিৎসক সাইফুর রহমান খান। এতে তিনি উল্লেখ করেন মাথায় আঘাতজনিত কারণে রূপার মৃত্যু হয় এবং মৃত্যুর আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়।

এসকেএম/ডিপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত