চবি সিন্ডিকেটে বিএনপি-জামায়াতপন্থি ২ শিক্ষক
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৭:১৮ আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৭:১৯
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সিন্ডিকেটে শিক্ষক প্রতিনিধির চারটি পদের মধ্যে দুটিতে জয়ী হয়েছে বিএনপি-জামায়াতপন্থি শিক্ষকদের সাদা দল। অন্যদিকে আওয়ামী-বামপন্থিদের হলুদ দলের জয় পেয়েছে মাত্র একটি পদে। তবে একাডেমিক কাউন্সিল ও ফিন্যান্স কমিটির সব পদে জয়ী পেয়েছে হলুদ দলের প্রার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদে রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ভোট গ্রহণ শেষে সন্ধ্যায় ফল ঘোষণা করা হয়; ফল ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. কামরুল হুদা। বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটে শিক্ষকদের চারটি পদের পাশাপাশি রোববারের ভোটে একাডেমিক কাউন্সিলের ছয়টি এবং ফিন্যান্স কমিটির একটি পদে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন হয়।
এতে বিএনপি-জামায়তপন্থি শিক্ষকরা স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও ধর্মীয় মূল্যবোধে উজ্জীবিত ‘সাদা দলের’ ব্যানারে অংশ নেয়। আর বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ প্যানেল ‘হলুদ দলের ব্যানারে’ অংশ নেয় আওয়ামী-বামপন্থি শিক্ষকরা। সিন্ডিকেটে শিক্ষকদের চারটি পদের মধ্যে অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে সাদা দলের অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ হলুদ দলের প্রার্থী অধ্যাপক এমদাদুল হক থেকে ২৬ ভোটের বেশি পেয়ে নির্বাচিত হন।
সহযোগী অধ্যাপক ক্যাটাগরিতেও সাদা দলের প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। বিজয়ী ড. মোহাম্মদ সাখাওয়াত হুসাইন হলুদ দলের প্রার্থী সুকান্ত ভট্টাচার্যের চেয়ে ৩৫ ভোট বেশি পেয়েছেন।
অধ্যাপক মোজাফফর বলেন, গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রেখে শিক্ষকরা দলমত নির্বিশেষে ভোট প্রদান করায় গুরুত্বপূর্ণ দুটি পদে আমরা জয়লাভ করতে পেরেছি।
এছাড়া সহকারী অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম সাদাত আল সজীব হলুদ দলের প্রার্থী মুহাম্মদ রিদোয়ান মোস্তফার চেয়ে ১২ ভোট বেশি পেয়ে জয়ী হন। আর প্রভাষক ক্যাটাগরিতে হলুদ দলের সেতু রঞ্জন বিশ্বাস বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
সিন্ডিকেটে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোটে বিপর্যয়ের কারণ সম্পর্কে হলুদ দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক সুলতান আহমদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হলুদ দলের জ্যেষ্ঠ এক শিক্ষক নেতা বলেন, দলের স্ট্যান্ডিং কমিটির কয়েকজন সদস্যের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের জন্য এই ফল হয়েছে।
মনোনয়ন সাধারণ শিক্ষকদের পছন্দ না হওয়াও ভোটে বিপর্যয়ের কারণ বলে মন্তব্য করেন হলুদ দলের কয়েকজন শিক্ষক। একাডেমিক কাউন্সিল এবং ফিন্যান্স কমিটির সব কয়টি পদে আওয়ামী-বামপন্থি শিক্ষকদের হলুদ দল জয়ী হয়েছে।
/এসকে/