ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

ধর্ষণের পর রূপার মাথায় আঘাত করা হয়েছিল

  টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০১৮, ১৯:৫৮  
আপডেট :
 ১৬ জানুয়ারি ২০১৮, ২০:০২

ধর্ষণের পর রূপার মাথায় আঘাত করা হয়েছিল

টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে বহুজাতিক কোম্পানির কর্মী রুপা খাতুনকে ধর্ষণের পরে তার মাথায় আঘাত করা হয়। আর ওই আঘাতের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার রূপার লাশের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক সাইদুর রহমান সাক্ষ্য দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন। তিনি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তৎকালীন আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা।

টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারকের দায়িত্বে থাকা প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়ার আদালতে এই সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে।

আদালতে আজ চিকিৎসক সাইদুর রহমান ছাড়াও রূপার ব্যাগ জব্দ করার সাক্ষী পুলিশ কনস্টেবল আবদুল হান্নান ও লাশের সুরতহাল করার সাক্ষী মধুপুরের জলছত্র এলাকার আবদুল মান্নান এবং শিশির মোহন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ নিয়ে এই মামলায় ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো। আগামীকাল বুধবার এই মামলার আসামিদের ১৬৪ ধারায় দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি লিপিবদ্ধকারী চার বিচারিক হাকিমের সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত।

৩ জানুয়ারি মামলার বাদী মধুপুরের অরণখোলা ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলামের সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। সাক্ষ্য গ্রহণের সময় মামলার পাঁচ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রুপা খাতুনকে চলন্ত বাসে পরিবহন শ্রমিকরা ধর্ষণ করে। পরে তাকে হত্যা করে টাঙ্গাইলের মধুপুর বন এলাকায় ফেলে রেখে যায়। পুলিশ ওই রাতেই তার লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে পরদিন বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে মধুপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

২৮ আগস্ট মধুপুর থানায় এসে লাশের ছবি দেখে রুপাকে সনাক্ত করেন তার ভাই। পরে পুলিশ ছোঁয়া পরিবহনের চালক হাবিবুরসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের কাছে তারা রুপাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে ৩০ আগস্ট তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। বর্তমানে তারা সবাই টাঙ্গাইল কারাগারে আছেন। ৩১ আগস্ট রুপার লাশ উত্তোলন করে তার ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে তাকে সিরাজগঞ্জের তারাশ উপজেলার নিজ গ্রাম আসানবাড়িতে নিয়ে দাফন করা হয়।

এস/এ/জে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত