ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

সরকারি বাসা দখলের অভিযোগ

তদন্তের মুখে ১৪ হজ এজেন্সি

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০১৮, ২০:১৮

তদন্তের মুখে ১৪ হজ এজেন্সি

হজে নিয়ে সৌদি আরবে হাজিদের সঙ্গে প্রতারণায় লিপ্ত হজ এজেন্সিগুলো। উন্নতমানের খাবার দেওয়ার কথা বলে নিম্নমানের খাবার পরিবেশন, ট্রান্সপোর্ট, হোটেলে রাখাসহ প্রতারণার অহরহ অভিযোগ এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে। তবে চৌদ্দটি এজেন্সির বিরুদ্ধে সরকারি বাসা দখলের ভিন্নধর্মী অপকর্মের অভিযোগে উঠেছে। এই অভিযোগে তদন্তের মুখে পড়েছে এসব হজ এজেন্সি।

গত বছর হজের সময় সরকারি ভাড়া বাসায় অবৈধভাবে হাজিদের রাখাসহ সৌদি সরকারের আইন পরিপন্থি অপকর্মে লিপ্ত থাকার অভিযোগে দেশের চৌদ্দটি হজ এজেন্সিকে নোটিশ দিয়েছে ধর্মমন্ত্রণালয়। তাদের এমন কর্মকাণ্ডে বিদেশের মাটিতে দেশের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। এই অভিযোগে এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে কেন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে সাত দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে নোটিশে। এই সময়ের মধ্যে জবাব দিতে না পারলে এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার ডাকযোগে এজেন্সিগুলোর কাছে নোটিশটি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে ধর্মমন্ত্রণালয়ের সহকারি সচিব (হজ) এস এম মনিরুজ্জামান জানান, চৌদ্দটি হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে। অবৈধভাবে সরকারের ভাড়া করা বাসায় হাজিদের রাখার অভিযোগে এজেন্সিগুলোকে শোকজ করা হয়েছে।

ইতোমধ্যে তাদের কাছে নোটিশটি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

নোটিশে এজেন্সিগেুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়, গত বছর হজের সময় সরকারি হাজিরা হজ শেষে দেশে ফিরে আসলে হোটেল মালিকদের যোগসাজশে এজেন্সিগুলো ভাড়া করা সরকারি চারটি বাসায় নিজেদের হাজিদের অবৈধভাবে রাখেন। যা সৌদি আইনের লংঘন এবং এটি বিদেশের মাটিতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে।

গত বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় সৌদি আরবে হাজিদের আবাসনের জন্য ১৫ মহরম পর্যন্ত এসব বাসা ভাড়া করে ধর্মমন্ত্রণালয়।

অপকর্মে লিপ্ত চৌদ্দ এজেন্সি হল- জিয়ারত ই কাবা ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস, মেসার্স আহসান ট্রাভেলস ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল এজেন্ট, মেসার্স আহসান ট্রাভেলস ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল এজেন্ট (আব্দুল্লাহ হজ কাফেলা), আল জিয়ারত ইন্টারন্যাশনাল, মেসার্স এম নূরে মদিনা ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস, আল আমানত ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস, মেসার্স জামান এন্টারপ্রাইজ, সঞ্জরি ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস, জাবেদ এয়ার ইন্টারন্যাশনাল, আল মদিনা হজ অ্যান্ড ট্রাভেলস সার্ভিস, ইব্রাহিম ট্রাভেলস, জেনাস ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস, কে বি এয়ার ইন্টারন্যাশনাল, আনাস ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস।

অভিযোগ আছে, হোটেল সুফারা আল জাজিরা মেসফালাহ ( এক নম্বর বাসা) হোটেলে জিয়ারত ই কাবা ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস অবৈধভাবে তাদের ৫০ জন হাজি রাখে, একই হোটেলে মেসার্স আহসান ট্রাভেলস ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল এজেন্ট ৫০ জন, মেসার্স আহসান ট্রাভেলস ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল এজেন্ট (আব্দুল্লাহ হজ কাফেলা) ৪৫ জন হাজি রাখে।

সরকারের ভাড়া করা দুই নম্বর বাসাবাড়ি হোটেল দুররাতুল হুদহুদ মেসফালায় আল জিয়ারত ইন্টারন্যাশনাল ৬০ জন, মেসার্স এম নূরে মদিনা ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস ৪৫ জন, আল আমানত ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস ৬০ জন হাজি রাখে।

সরকারের তিননম্বর ভাড়া বাসা হোটেল আল শুমুউ মেসফালায় মেসার্স জামান এন্টারপ্রাইজ ২০৬ জন, সঞ্জরি ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস ২১০জন হাজি রাখে।

তাছাড়া সরকারের ভাড়া করা চার নম্বর বাসাবাড়ি জুদ আলতাজ হোটেলে জাবেদ এয়ার ইন্টারন্যাশনাল ২৯জন, আল মদিনা হজ অ্যান্ড ট্রাভেলস সার্ভিস ১৫৩ জন, ইব্রাহিম ট্রাভেলস ৬০ জন, জেনাস ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস ৪৭ জন, কে বি এয়ার ইন্টারন্যাশনাল ১০৮ জন আনাস ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস ৪৩ জন হাজি অবৈধভাবে রাখে। যা সৌদি সরকারের আইন লংঘন।

/এসবি/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত