ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

বিএডিসি আইনে জেলা-জরিমানা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৮:০৫

বিএডিসি আইনে জেলা-জরিমানা

অপরাধের শাস্তি হিসেবে জেলা-জরিমানার বিধান রেখে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) আইন-২০১৮ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ আইনের খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৈঠক শেষে দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। সচিব জানান, কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে এ আইনটি উপস্থাপন করা হয়। যাচাই-বাছাই শেষে এই আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

সামরিক আমলের একটি অধ্যাদেশে বিএডিসি চলছিল জানিয়ে শফিউল আলম বলেন, এ কারণে অধ্যাদেশটি বাংলায় হালনাগাদ করে নতুন করে আইনটি করা হয়েছে। এতে কর্পোরেশনের কাঠামো, অপরাধের ধরণ, এর শাস্তি বিশেষ করে অপরাধের জন্য আগে জরিমানা ছিল, কিন্তু কারাদণ্ড ছিল না এখন নতুন আইনে জরিমানার পাশাপাশি কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, খসড়া আইন অনুযায়ী কেউ বিএডিসির নোটিশ অমান্য করলে ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে।

তিনি আরো বলেন, যদি কেউ এ অপরাধ দ্বিতীয়বার করে তবে প্রতিদিন তাকে ৫০ টাকা হারে জরিমানা দিতে হবে। আগের আইনে নোটিশ দেওয়া হত, কিন্তু জরিমানার সুযোগ ছিল না। নতুন আইনে নোটিশ অমান্য করলে জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

কৃষকসহ সংশ্লিষ্টদের এই নোটিশ দেওয়া হয় জানিয়ে সচিব বলেন, কর্পোরেশন এ আইনের অধীনে কোনো ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনো কাজ করতে বা কোনো কাজ করা থেকে বিরত থাকতে নোটিশ দেওয়া হলে আর ওই ব্যক্তি নোটিশ অনুযায়ী কোনো কাজ করা বা করা থেকে বিরত থাকতে ব্যর্থ হলে কর্পোরেশন ওই কাজের বাস্তবায়নে ব্যবস্থা নিতে পারবে। এজন্য ব্যয় হওয়া সব অর্থ ওই ব্যক্তির কাছ থেকে আদায় করার বিধান রয়েছে।

এবারের আইনে বেশ কিছু অপরাধে জরিমানার পাশাপাশি কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, কর্পোরেশনের কোনো ভূমি বা স্থাপনা রক্ষার সীমানা প্রাচীর ক্ষতিগ্রস্ত করলে, দালান বা দেয়ালের ভার রক্ষার্থে ঠেস দেয়ার জন্য স্থাপিত কোন বস্তু অপসারণ, খনন করা বা ভেঙে ফেলা কোন সড়ক বা ভূমিতে স্থাপিত বাতি নিভিয়ে ফেললে, কর্পোরেশনের আদেশ না মেনে যাতায়াতের পথ বন্ধ করলে, কর্পোরেশনের স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত করলে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আগে এক্ষেত্রে শুধু ৫০ টাকা জরিমানা ছিল।’

তাছাড়া কর্পোরেশনের নিয়োগ করা ঠিকাদারকে বাধা এবং কর্পোরেশের কোনো সীমানা বা দিকনির্দেশক চিহ্ন অপসারণ করলেও ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হতে পারে- বলেও জানান তিনি।

সচিব বলেন, কর্পোরেশনের লিখিত অনুমোদন ছাড়া কোনো ব্যক্তি কর্পোরেশনের মালিকানাধীন কোনো জমিতে চাষবাদ করেন বা চাষাবাদের জন্য প্রস্তুত করেন বা ওই জমিতে কোনো ভবন বা স্থাপনা নির্মাণ করেন বা গাছ কাটেন বা ভূমি খনন করেন, তবে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, কেউ কর্পোরেশনের ভূমি দখলে রাখলে কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান বা তার কাছ থেকে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি শক্তি প্রয়োগ করে ভূমিতে প্রবেশ করতে পারবেন এবং কর্পোরেশনের পক্ষে ভূমির দখল নিতে পারবেন।

তিনি বলেন, কর্পোরেশনের কোনো সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হলে আদালত দণ্ড দেয়ার পাশাপাশি কর্পোরেশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের আদেশ দিতে পারবে।

কর্পোরেশন এখন যে কাজগুলো করে নতুন আইনেও সেগুলো মোটামুটি তুলে ধরা হয়েছে জানিয়ে শফিউল আলম বলেন, ‘খসড়া আইন অনুযায়ী পরিচালনা পর্ষদ হবে চেয়ারম্যানসহ ১৬ সদস্য বিশিষ্ট, আগে ছিল ১৪ সদস্যের। কর্পোরেশন ও বোর্ডের প্রধান হবেন চেয়ারম্যান, সরকার চেয়ারম্যান নিয়োগ দেবে।’

  • সর্বশেষ
  • পঠিত