ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

ইংরেজিতে লিখে শহীদ মিনারে পুষ্প স্তবক অর্পণ

  টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৫:৩৫  
আপডেট :
 ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৫:৪৩

ইংরেজিতে লিখে শহীদ মিনারে পুষ্প স্তবক অর্পণ

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা দিবসে ইংরেজীতে লিখে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্প স্তবক অর্পন করার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে শহীদ মিনারে ফুল দিতে আসা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেত্রীবৃন্দ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মধ্যে সমালোচনা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার সকালে মির্জাপুর উপজেলা সদরের থানা রোডের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে দেখা গেছে ফুলের তোড়ার মধ্যে বাংলার পরিবর্তে ইংরেজীতে লেখা সিলেস্ট ইন্টারন্যাশনাল স্কুল।

পুষ্প স্তবক অর্পণের সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত সাদমীন, সহকারী কমিশনার(ভুমি) মো. আজগর হোসেন, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম মিজানুল হক মিজান, মির্জাপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মো. সালাউদ্দিন আহমেদ বাবরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের চোখের সামনে শহীদ মিনারে এমন ঘটনা ঘটলেও ঐ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অধ্যক্ষ, এবং পরিচালকসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

জানা গেছে, সিলেস্ট ইন্টারন্যাশল স্কুল মির্জাপুর থানার ২শ গজ পুর্বে বাইমহাটি পালপাড়ায় মির্জাপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রভাষক মো. নুরুল ইসলামের বাসা ভাড়া স্কুল পরিচালনা করে আসছে। প্রতি বছরই একুশে ফেব্রুয়ারি এলেই এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক, অধ্যক্ষ ও শিক্ষক কর্মচারীরা বাংলা ভাষা ব্যবহার না করে ইংরেজীতে লেখা সিলেস্ট ইন্টারন্যাশনাল স্কুল লিখে শহীদ মিনারে পুষ্প স্তবক অর্পণ করে আসছে।তারপরও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

এ ব্যাপারে সিলেস্ট ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পরিচালক ও অধ্যক্ষ ইসমতারা সুপ্তির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আসলে ফুলের তোরার মধ্যে বাংলায় লিখতে হবে এটা আমার জানা ছিল না। ইংরেজীতে লেখা ঠিক হয়নি। এটা ভুল হয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত সাদমীনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শহীদ মিনারে পুষ্প স্তবক অর্পণর সময় ফুলের তোড়ায় বাংলার পরিববর্তে ইংরেজীতে লেখা আইনগত ভাবে ঠিক নয়। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম মিজানুল হক মিজান এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. খলিলুর রহমানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত