ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫২ মিনিট আগে
শিরোনাম

নির্যাতিত দুই সাংবাদিককে সহমর্মিতা জানালেন মঈন খান

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ০০:৪০  
আপডেট :
 ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ০০:৪৩

নির্যাতিত দুই সাংবাদিককে সহমর্মিতা জানালেন মঈন খান

শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে দৈনিক বাংলাদেশ জার্নালের নিজস্ব প্রতিবেদক কিরণ শেখ ও দৈনিক সমকালের নিজস্ব প্রতিবেদক কামরুল হাসানের ওপর পুলিশি নির্যাতনের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। একই সাথে তিনি নির্যাতিত সাংবাদিকদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেন।

শনিবার রাতে দুই সাংবাদিকের সাথে মুঠোফোনে কথা বলেন তিনি। মঈন খান তাদের বলেন, আপনাদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা এ মাত্র আমি শুনলাম। শুনেই আপনাদের ফোন দিলাম, আমাদের যে সহমর্মিতা ও সকল রকম স্বচেষ্টা আপনাদের জন্য আছে। আমরা এ ঘটনা তীব্র নিন্দা জানাই।

প্রসঙ্গত, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কিরণ শেখকে নির্যাতন করে পুলিশ। সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার পরও পল্টন থানা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কুবায়েত কিরণ শেখের ওপর নির্যাতন চালায়। কিরণ শেখ বলেন, ‘বিএনপির কালো পতাকা প্রদর্শন কর্মসূচির সংবাদ সংগ্রহ করতে নয়াপল্টনে দলটির কার্যালয়ের সামনে আসা মাত্রই কয়েকজন পুলিশ সদস্য আমাকে চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলে। তারা আমার পরিচয় জানতে চাইলে আমি আইডি কার্ড দেখাই। এরপর পুলিশ অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালিসহ কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে তারা আমাকে মাটিতে ফেলে দেয়। এরপর শার্ট ধরে টেনে তোলে। মারধরের কারণ জানতে চাইলে পুলিশ গালে চড় দিয়ে বলে, ‘একদম চুপ, কোনও কথা বলবি না।’

অপরদিকে শনিবার দুপুরে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ডিবি পরিচয়ে সাদা পোশাকধারী কয়েকজন পুলিশ কামরুল হাসানকে আটক করে হোটেল ভিক্টরীর গলিতে নিয়ে যায়। সেখানে কামরুলকে অকথ্য ভাষায় গালাগালসহ তার সাথে থাকা মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এরপর তার ফেসবুক আইডি ঘাটাঘাটি করে। পরিচয়পত্রের ছবি তুলে বলে ‘তোকে টার্গেটে রেখেছি।’ এর কিছুক্ষণ পর একই বিটে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতিবাদের মুখে কামরুলকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

/কেএস/এসকে/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত