ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

স্বর্ণ চোরাচালান, মূল হোতারা থাকছে ধরাছোঁয়ার বাইরে

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০১৮, ০৯:১৬

স্বর্ণ চোরাচালান, মূল হোতারা থাকছে ধরাছোঁয়ার বাইরে

বিমান বন্দরভিত্তিক স্বর্ণ চোরাচালানীদের শনাক্তের পাশাপাশি আইনের আওতায় আনতে সন্দেহভাজন যাত্রীদের বিশেষ এক ডাটাবেজ তৈরি করতে যাচ্ছে শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ। মূলত অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক রুটগুলোতে যাতায়াতকারী যাত্রীদের সব ধরণের তথ্য সংযুক্ত ও পর্যালোচনা করবে তারা। বিশেষ করে অর্থসঙ্গতি না থাকা সত্বেও ঘন ঘন বিমান যাত্রা করেছে এধরণের যাত্রীদের বিশেষ নজরদারিতে আনা হবে। মূলত লাগেজ পার্টি হিসাবে পরিচিত এসব যাত্রী স্বর্ণ চোরাচালানে ক্যারিয়ার হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে বলে তথ্য শুল্ক গোয়েন্দাদের।

আমদানি এবং শুল্ক সংক্রান্ত নানা জটিলতার কারণে সৌদি আরব, আরব আমিরাত, কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে চোরাচালান হয়ে স্বর্ণ আসে বাংলাদেশে। আর এ কাজে পুরোপুরি ব্যবহার করা হয় আকাশপথকে। নিত্য নতুন কৌশলে বিমান বন্দর দিয়ে স্বর্ণ চোরাচালান যেমন হচ্ছে, তেমন স্বর্ণের চালানসহ ধরা পড়ছে ক্যারিয়াররা। বিশেষ করে লাগেজ পার্টির মাধ্যমে স্বর্ণের চোরাচালান হওয়ায় মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। আর ক্যারিয়াররাও জামিনে মুক্তি পেয়ে যাওয়ায় বন্ধ হচ্ছেনা রাজস্ব ফাঁকির এই পন্থা।

সিএমপির উপ পুলিশ কমিশনার (বন্দর) হারুনুর রশীদ হাযারী জানান, 'এমন হাতবদল হয় যে, তারা অনেক সময় জানেনও না কোথা থেকে এসেছে, কে দিয়েছে... কখনো হয়তো যে দিয়েছে তার নামটা বলতে পারে। বিস্তারিত ঠিকানা কি সেগুলোর কিছুই জানে না।'

স্বর্ণ চোরাচালান বন্ধে এবার লাগেজ পার্টির সদস্যদের ডাটাবেইজে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ। মূলত আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ রুটে ঘন ঘন যাতায়াত করছে এমন যাত্রীদের নজরদারিতে আনতে চায় তারা। স্বর্ণের চালানসহ আগে গ্রেপ্তার হয়েছে এমন ক্যারিয়ারদের’ও তথ্য থাকবে ডাটাবেইজে।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক একেএম নুরুল হুদা আজাদ বলেন, 'সীমিত চোরাকারবারিদেরকে চিহ্নিত করে তাদেরকে নজরদারিতে রাখা যাতে এরা বার বার একই রকম ঘটনা ঘটাতে সক্ষম না হয়। বিশ্লেষণ করে পরবর্তীতে আমরা তাদের মূল হোতাদের ধরার চেষ্টা চালাবো।'

আগে স্বর্ণের চালান আটক মামলার তদন্তের তথ্য শুধুমাত্র পুলিশ সংরক্ষণ করতো। কিন্তু ডাটাবেইজের কাজ শুরু হলে সরকারি সবগুলো সংস্থায় এসব তথ্য শেয়ারিংয়ের সুযোগ পাবে।

সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মাসুদ উল হাসান বলেন, 'যেকোনো সহযোগিতা যদি ইমিগ্রেশন পুলিশ এবং কাস্টমস কর্তৃপক্ষ যদি চায় আমরা সেটা করবো।'

বিমানবন্দরভিত্তিক কর্মরত কাস্টম এবং শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, এখন পর্যন্ত স্বর্ণের চালানসহ আটককৃতদের মধ্যে ৯৫ ভাগই ক্যারিয়ার। যারা স্বর্ণের বার পৌঁছে দেয়ার জন্য বিমান ভাড়ার পাশাপাশি প্রতি পিস হিসাবে ৫ হাজার টাকা করে পেয়ে থাকে।

এসএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত