ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

কুড়িগ্রামে করলার বাম্পার ফলন

  কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০১৮, ১১:৪৭

কুড়িগ্রামে করলার বাম্পার ফলন

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে করলার বাম্পার ফলন হওয়ায় চাষির মুখে সন্তুষ্টির হাসি ফুটে উঠেছে। উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে বাণিজ্যিক ভাবে করলার আবাদ করেছেন কৃষকরা। ফলন ভাল হওয়ায় দূরদূরান্তের পাইকাররা এসে করলা কিনছে। এরপর তারা ট্রাকযোগ ঢাকা, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছেন।

স্থানীয় পাইকাররা কৃষকদের কাছ থেকে ৯৫০ থেকে ১০০০ টাকা মন দরে করলা কিনছেন। তারাও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা করলা ব্যবসায়ীদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করছেন। এতে কৃষকদের উৎপাদিত করলার চাহিদা যেমন বাড়ছে, তেমনি স্থানীয় পাইকাররাও অনেকটা লাভবান হচ্ছেন। দাম ভাল থাকায় বর্তমানে করলা চাষিরা ঘরে বসে থাকার ফুরসত পাচ্ছেন না। কেউ করলার ক্ষেত পরিচর্যার কাজ করছেন,কেউ ক্ষেতের করলা তুলছেন, আবার কেউ বিক্রির জন্য আড়তদারের কাছে নিয়ে যাচ্ছেন করলা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে প্রায় ১৫০ হেক্টর জমিতে করলার চাষাবাদ হয়েছে। কৃষকদের মাঝে প্রয়োজনীয় সার,বীজ,প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন ধরণের সহায়তা দেয়ায় গত বছরের চেয়ে এ বছর করলার বাম্পার ফলন হয়েছে। তাছাড়া বিগত বছরের তুলনায় এ বছর বাজারে করলার দাম ও চাহিদা ভাল। তাই করলা চাষিরা এ বছর যথেষ্ট লাভবান হয়েছেন।

উপজেলার নওদাবশ গ্রামের করলা চাষি বেলাল হোসেন,পশ্চিম ফুলমতি গ্রামের জর্জিস মিয়া জানান,তারা প্রত্যেকে এ বছর এক বিঘা করে জমিতে করলার চাষ করেছেন। বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ও পরামর্শ পাওয়ায় কোন রকম রোগবালাই ছাড়া বাম্পার ফলন হয়েছে। এক বিঘা জমির করলা ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা বিক্রি করার আশা করছেন তারা।

উপজেলার চন্দ্রখানা এলাকার পাইকার আশরাফুল ইসলাম জানান, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কৃষকদের কাছ শতশত মন করলা ক্রয় করে নাওডাঙ্গা পুলেরপাড় বাজারের আড়তদার জাহাঙ্গীর আলমের আড়তে জমা করি। সেখানে প্রতিদিনই রাজশাহী,চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও ঢাকা থেকে ব্যবসায়ীরা ট্রাক নিয়ে এসে করলা ক্রয় করে। এ বছর করলার ব্যবসা করে আমরা যথেষ্ট লাভবান হয়েছি।

উপজেলা কৃষি অফিসার মাহবুবুর রশিদ জানান, করলা চাষ এ বছর উপজেলার কৃষকদের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে আগামীতে এ অঞ্চলের অনেক কৃষক অলাভজনক আবাদ ছেড়ে করলা চাষে ঝুঁকে পড়বেন।

/এসকে/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত