ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১১ মিনিট আগে
শিরোনাম

যোগাযোগকে আমরা বিস্তৃত পরিসরে দেখি: প্রধানমন্ত্রী

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২১ এপ্রিল ২০১৮, ০১:২৩  
আপডেট :
 ২১ এপ্রিল ২০১৮, ০১:৩০

যোগাযোগকে আমরা বিস্তৃত পরিসরে দেখি: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যোগাযোগকে আমরা বিস্তৃত পরিসরে দেখি। আমরা মতামত, জ্ঞান, প্রযুক্তি, সংস্কৃতি, সড়ক-রেল-আকাশ, পণ্য, সেবা ও বিনিয়োগের যোগাযোগে বিশ্বাসী।’

শুক্রবার (২০ এপ্রিল) ব্রিটিশ রাজপ্রাসাদ উইন্ডসর ক্যাসেলে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর সরকারপ্রধানদের সম্মেলনে (চোগম) রিট্রিট সেশনে বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী এসব বলেন। সেশনে সভাপতিত্ব করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে।

সেশনের চতুর্থ এজেন্ডা ‘কমনওয়েলথ সচিবালয় পরিচালনা ও অর্থায়ন’ বিষয়ে আলোচনায় শেখ হাসিনা বলেন, কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর স্বার্থে কাজ এগিয়ে নিতে আমরা সচিবালয়ের ভূমিকাকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখি। আমরা মনে করি, সদস্য দেশগুলোর যথাযথ দৃষ্টিভঙ্গিও এক্ষেত্রে সমান গুরুত্বপূর্ণ। কমনওয়েলথ সচিবালয় পরিচালনার অর্থায়নের প্রশ্নে হাই লেভেল গ্রুপের পর্যালোচনার প্রেক্ষাপট থেকে কিছু বলতে চাই। প্রথমত, হাই লেভেল গ্রুপকে হতে হবে আরও বেশি প্রতিনিধিত্বমূলক, যেখানে কমনওয়েলথের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সদস্য রাষ্ট্র থাকবে। বোর্ড অব গভর্নর্সের সঙ্গে উন্মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে বিস্তৃত পরামর্শের জন্য কর্মকৌশল থাকতে হবে। দ্বিতীয়ত, উদ্ভাবনী উপায়ে অর্থায়নসহ পৃথক অর্থায়নের কর্মকৌশল ও বিকল্প নির্ধারণে হাই লেভেল গ্রুপ নজর দিতে পারে। তৃতীয়ত, বেসরকারি খাতের অংশীদারিত্ব ও প্রকল্প সহ-অর্থায়ন আরেকটি বিকল্প উপায় হতে পারে।

আলোচনার পঞ্চম এজেন্ডা ‘বৈশ্বিক প্রেক্ষিত’ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছু অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে নিজের অভিমত ব্যক্ত করতে চাই। প্রথমত আরও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও যোগাযোগ গুরুত্বপূর্ণ। আমি যোগাযোগ বিষয়ের ঘোষণার (ডিক্লারেশন অন কানেক্টিভিটি) খসড়াকে স্বাগত জানাই। আমরা দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরির জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সহযোগিতা করতে চাই, যেখানে আমরা ভালো পড়শী হিসেবে পাশাপাশি থাকতে পারবো এবং নিজেদের জনগণের কল্যাণে গঠনমূলক নীতি গ্রহণ করবো।

কমনওয়েলথে যোগাযোগের আলোচনা গুরুত্ব পাওয়ায় সাধুবাদ জানিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ‘যোগাযোগকে আমরা বিস্তৃত পরিসরে দেখি। আমরা মতামত, জ্ঞান, প্রযুক্তি, সংস্কৃতি, সড়ক-রেল-আকাশ, পণ্য, সেবা ও বিনিয়োগের যোগাযোগে বিশ্বাসী। নিয়ম মেনে বাণিজ্যিক যোগাযোগ এবং স্বচ্ছ, অংশগ্রহণমূলক ও সুস্থ বহুজাতিক বাণিজ্যিক কার্যক্রম সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’

তিনি বলেন, ‘এই জায়গা থেকে বাংলাদেশ তার পড়শী ভারত, ভুটান ও নেপালের সঙ্গে মিলে উপ-আঞ্চলিক যোগাযোগ প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা যোগাযোগ বিষয়ক কর্মসূচির দ্রুত বাস্তবায়ন পরিকল্পনাকে বিশেষভাবে দেখি এবং কমনওয়েলথ অংশীদারদের বহুখাতের অবকাঠামোগত প্রকল্প নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানাই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাইবার জগতে আমরা যেমন সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছি, তেমনি চ্যালেঞ্জের মুখেও পড়তে হচ্ছে। সেজন্য একদিকে আমাদের প্রয়োজন অবাধ, বহুমুখী ও নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিতে কাজ করা। পাশাপাশি দরকার সাইবার আক্রমণের ঝুঁকি এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে জঙ্গিবাদ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে কাজ করা। এটা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে আমাদের সরকারের নীতি ‘জিরো টলারেন্স’।

এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদিন যুক্তরাজ্যের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম শুক্রবার সাংবাদিকদের জানান, ‘শেখ হাসিনা গতরাতে এখানে বাকিংহাম প্যালেসে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন।’

প্রেস সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী একই স্থানে প্রিন্স চার্লসের সঙ্গেও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী কমনওয়েলথ দেশগুলোর অন্যান্য সরকার প্রধান ও নেতাদের সঙ্গে রানির দেওয়া নৈশভোজে অংশ নেন।

প্রসঙ্গত, ২৫তম কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছেন। ২৫তম কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের সম্মেলনে ৫৩টি কমনওয়েলথ দেশের সরকার প্রধান এবং অন্যান্য নেতারা যোগ দেন।

জেডআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত