ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

'আগে যা বলেছি, তা ঠিক না, তবে আজ যা বলছি তাই সবই ঠিক'

  গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৪ এপ্রিল ২০১৮, ১৪:৩৯  
আপডেট :
 ২৪ এপ্রিল ২০১৮, ১৪:৪৭

'আগে যা বলেছি, তা ঠিক না, তবে আজ যা বলছি তাই সবই ঠিক'

আগে যা বলেছি, তা ঠিক না, তবে আজ যা বলছি তাই সবই ঠিক। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসির বিপক্ষের যে অংশ রয়েছে তাদের প্রলোভনে পড়ে ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের কারণে এবং আমরা ক্ষুব্ধ হয়ে ভিসি স্যারের বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলেছি। আমরা অত্যন্ত গরীব।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে গোপালগঞ্জ শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে এ কথাগুলো বলছিলেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাষ্টার রোলে কর্মরত আফ্রিদা আক্তার ঝিলিক। এসময় তার স্বামী নাফিউল আসাদ এবং একমাত্র সন্তান উপস্থিত ছিলেন।

তারা স্বামী-স্ত্রী দু’জনে মিলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. নাসির উদ্দিনকে ভাল মানুষ উল্লেখ করে বলেন, লোভের বসেই তারা সাংবাদিকদেরকে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করেছেন। কিন্তু, মিথ্যা বেশীদিন টেকেনা। তাই তারা উপলব্ধি করতে পেরে আজ মঙ্গলবার সঠিক তথ্য তুলে ধরছেন বলে উল্লেখ করেন।

তারা আরো বলেন, নিতান্ত চাকরী না হওয়ার কারণেই তারা ভিসির বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করেছিলেন। যা সব মিথ্যা তথ্য, তা তারা প্রত্যাহার করে নিতে চান। আর মিথ্যা তথ্য সরবরাহের জন্য তারা সকলের কাছে ক্ষমা চান।

সংবাদ সম্মেলনে জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে গোপালগঞ্জের তৎকালীন জেলা প্রশাসক মো: খলিলুর রহমান আমাকে বিয়ে দেন। আমি দুস্থ: পুনর্বাসন কেন্দ্রে মানুষ হয়েছি। আসলে আমাকে এবং আমার স্বামীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরী দেবার কথা থাকলেও ভিসি শেষ পর্যন্ত চাকরী দেন নাই। যে কারণে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ভিসির বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনসহ নানা অভিযোগ করি।

এমন অভিযোগ এবারই প্রথম নয়। এর আগেও নারী কিলেংকারী ও আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠে ভিসির বিরুদ্ধে। বিগত প্রায় সাড়ে তিন বছর বর্তমান ভিসি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন। ইতোপূর্বে তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ ওঠে তা প্রমাণ হয়েছে কিনা তার কোন প্রমাণ নাই। এসব বিষয়ে কোন তদন্ত কমিটি হয়েছে কিনা বা তদন্ত হলে তার ফলাফলই বা কি তা কখনোই জনসম্মুখে আসেনি। তাই সত্য-মিথ্যা কখনোই প্রমাণিত হয়নি। এক সময় সব কিছুই স্বাভাবিক হয়ে আসছে এতদিন। নতুন এ ঘটনা হয়তো কয়েকদিন পর ফিকে হয়ে আসবে । ভুলে যাবে অভিযুক্তকারীরা। ভিসিকে নিয়ে আবার হয়তো নতুন কোন অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ সমগ্র গোপালগঞ্জের টক অফ দি টাউনে পরিণত হবে।

এনএইচ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত