ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

রূপগঞ্জে ধান কাটার শ্রমিকের অভাব

  রূপগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৬ এপ্রিল ২০১৮, ১২:৪৫

রূপগঞ্জে ধান কাটার শ্রমিকের অভাব

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বৈশাখের প্রথম দিন থেকেই ইরি-বোরো ধান কাটা শুরু করেছে স্থানীয় কৃষকেরা। নতুন ধানের মৌ মৌ গন্ধে কৃষকের মুখে হাসি ফুটে ওঠলেও ধান কাটার শ্রমিকই পাচ্ছেন না তারা। বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর ফলন বেশি হয়েছে বলে কৃষকদের ধারণা।

উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, এবছর রূপগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়নের মোট ৭ হাজার ৭শ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে মাঠে ঘুরে কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছেন। তাই ফলনও ভাল হয়েছে। কিন্তু শ্রমিক সংকটের কারণে কষ্টের ফসল ঘরে তুলতে পারছেন না কৃষকরা। এতে ফসল নিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন রূপগঞ্জের কৃষকরা। আর যা-ও কিছু শ্রমিক পাচ্ছেন, তাদের একজন শ্রমিককে মাথাপিছু দিতে হচ্ছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত। আবার চুক্তিতে ধান কাটালে বিঘা প্রতি গুনতে হচ্ছে ৫-৭ হাজার টাকা পর্যন্ত। সাথে আরো দিতে হচ্ছে তিন বেলা খাবার, বিড়ি ও নাশতার টাকা। এতে করে কৃষকের উৎপাদন ব্যয় ক্রমেই বেড়ে চলছে।

রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নের কৃষকেরা হতাশা নিয়ে বলেন, আমরা কোন দিকে যাব। বিগত বছরগুলোতে ধানের তেমন একটা ভাল ফলন পাইনি। অতি বৃষ্টিতে ধান তলিয়ে গেল আবার কোনো বছর খড়ায় ধানে চিটা হয়ে গেল। আর এ বছর পাকা ধান কাটাতেই পারছি না। ফসল মাঠে পড়ে আছে। শ্রমিক পাচ্ছি না। আর যা-ও পাচ্ছি তারা আবার অনেক মজুরি চাইছে। তারপরও শ্রমিকের ভয়াবহ সংকট।

উপজেলার খামারপাড়া এলাকার কৃষক আমির হোসেন বলেন, আমি এবার ৩ বিঘা জমি চাষ করেছি। অনেক টাকা ব্যয় হয়েছে। সরকার বলেছিল ঋণ দেবে, আমি কোনো ঋণ পাইনি। ঋণের জন্যে ব্যাংকে গেলে ব্যাংক জামানত চায়। কিন্তু তারপরও অনেক কষ্টে ধারদেনা নিয়ে টাকা জোগার করে জমি চাষ করেছি। কিন্তু এখন পাকা ধান কাটার শ্রমিক পাচ্ছি না। আরেক কৃষক জালাল উদ্দিন বলেন, কি আর করা শ্রমিক পাচ্ছিনা, তাই বলে নিজেই ধান কাটছি।

এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, আমরা শ্রমিক সংকটের বিষয়টি জানি। ধান কাটার যে মেশিন আছে তা ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছি । কিন্তু তা অনেক ব্যয়বহুল। অনেক কৃষকের পক্ষেই এটা ক্রয় করা সম্ভব না। তাছাড়া সব ধরনের মাটিতে এটা ব্যবহারও করা যায় না। আমাদের মাঠকর্মীরা সব সময় কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত