ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

আইসিডিডিআর,বির গবেষণা

পাস্তুরিত তরল দুধের বেশির ভাগেই ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৭ মে ২০১৮, ১০:১০  
আপডেট :
 ১৭ মে ২০১৮, ১০:৫৮

পাস্তুরিত তরল দুধের বেশির ভাগেই ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া

আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রে (আইসিডিডিআর,বি) গবেষকরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে পাস্তুরিত দুধের ৭৫ শতাংশে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া রয়েছে।

বুধবার (১৬ মে) আইসিডিডিআর,বির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

কেয়ার বাংলাদেশের আর্থিক সহায়তায় ‘স্ট্রেনদেনিং দ্য ডেইরি ভ্যালু চেইন (এসডিভিসি)’ প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশের বগুড়া, গাইবান্ধা, নীলফামারী, দিনাজপুর, জয়পুরহাট, রংপুর ও সিরাজগঞ্জ জেলার মোট ১৮টি উপজেলায় একটি গবেষণা পরিচালিত হয়। গবেষণার ফলাফল ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব ফুড মাইক্রোবায়োলজিতে প্রকাশিত হয়েছে।

গবেষণায় দুগ্ধ শিল্পের বিভিন্ন পর্যায়ে দুধের অণুজীববিজ্ঞানগত মান যাচাই করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের দুধ উৎপাদকারী, হিমাগার ও স্থানীয় রেস্তোরাঁ থেকে কাঁচা দুধের ৪৩৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এছাড়া ঢাকা ও বগুড়ার বিভিন্ন দোকান থেকে বাণিজ্যিকভাবে প্রক্রিয়াজাত দুধের ৯৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাথমিক দুধ উৎপাদনকারীদের পর্যায়ে ৭২ শতাংশে কলিফর্ম এবং ৫৭ শতাংশ নমুনায় ফিক্যাল কোলিফর্ম ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে। নমুনাগুলোর ১১ শতাংশ উচ্চসংখ্যায় ই. কোলাই ব্যাকটেরিয়া দূষিত।

পরীক্ষিত পাস্তুরিত দুধের নমুনার প্রায় ৭৭ শতাংশে ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা উচ্চমাত্রার, যা বিএসটিআইয়ের মানদণ্ডকে ছাড়িয়ে যায়। এছাড়া ৩৭ শতাংশ নমুনায় কলিফর্ম এবং ১৫ শতাংশ নমুনায় মলবাহিত কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে।

এই গবেষণার প্রধান তত্ত্বাবধায়ক আইসিডিডিআর,বির ফুড মাইক্রোবায়োলজি ল্যাবরেটরির প্রধান ড. মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম বলেন, 'দুধ প্রক্রিয়াজাতকরণের বিভিন্ন পর্যায়ে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি দেখে এটি স্পষ্ট বোঝা যায় যে, দুধের মূল গুণ অর্থাৎ এর পুষ্টিগত গুণাগুণ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। পাস্তুরিত কাঁচা দুধে রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুর উপস্থিতি থাকায় এসব দুধ খুব ভালোভাবে না ফুটিয়ে খাওয়া উচিত নয়।'

তবে ইউএইচটি দুধ থেকে সংগৃহীত নমুনায় জীবাণুর সংক্রমণ দেখা যায়নি, সেগুলো পানের জন্য নিরাপদ বলে জানিয়েছেন ড. মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম।

এদিকে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উৎপাদনকারীদের থেকে দুধ সংগ্রহের স্থানে দেখা যায় নমুনাগুলো উচ্চসংখ্যক কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়া দূষিত। সেখানে মল দ্বারা দূষিত হওয়ার হার ছিল ৯১ শতাংশ এবং ৪০ শতাংশ নমুনায় উচ্চসংখ্যক ই. কোলাই ছিল।

অপরদিকে হিমাগারে সংগৃহীত নমুনাগুলোর দুধে সংগ্রহের স্থানের নমুনাগুলোর চেয়েও দূষণের হার বেশি পাওয়া যায়। পাঁচটি জেলার ১৫টি হিমাগারে সংগৃহীত নমুনায় উচ্চসংখ্যক কলিফর্ম ও মলবাহিত কলিফর্ম পাওয়া গেছে। দুধ উৎপাদনকারীর থেকে শুরু করে হিমাগার এবং সবশেষে ভোক্তা অর্থাৎ স্থানীয় রেস্তোরাঁ পর্যায় পর্যন্ত দুধে ব্যাকটেরিয়ার মাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধির তথ্য উঠে এসেছে পরীক্ষায়।

জেডআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত