ঢাকা, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

রমজানে মুড়ি পল্লীতে বেড়েছে ব্যস্ততা

  ঝালকাঠি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২২ মে ২০১৮, ০৯:৫২  
আপডেট :
 ২২ মে ২০১৮, ১০:০৬

রমজানে মুড়ি পল্লীতে বেড়েছে ব্যস্ততা

রমজানে ইফতারিতে মুড়ি থাকবে না তা কি হয়। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ঢাকায় মুড়ি আসলেও বরিশালের মুড়ির জুড়ি নেই। তাই তো রমজান মাস এলেই ব্যস্ততা বহুগুণে বেড়ে যায় নলছিটি উপজেলার তিমিরকাঠীসহ আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের মুড়ি পল্লীতে। এসব গ্রামের শতাধিক পরিবার যুক্ত মুড়ি ভাজা ও তা বিক্রির কাজে।

উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের তিমিরকাঠী গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে সকলেই মুড়ি ভাজা নিয়ে ব্যস্ত। মাটির হাঁড়ি পাতিলে মুড়ি ভাজার শব্দ চারদিকে। কেউ মুড়ি ভাজছে, কেউ তা বস্তায় ভরছে। হাতে ভাজা এ মুড়ি শুধু দক্ষিণাঞ্চল নয় সারা দেশের রোজাদারদের কাছে ইফতারির প্রধান পছন্দ।

তিমিরকাঠী গ্রামের দেড়শতাধিক পরিবার মুড়ি ভাজা পেশার সাথে জড়িত। একেকটি পরিবার প্রতিদিন কমপক্ষে এক মণ চালের মুড়ি ভাজতে পারে। এই গ্রামের বাসিন্দারা জানান, রমজান মাসকে কেন্দ্র করে গত সপ্তাহ থেকে দৈনিক হাজার মণ মুড়ি সরবরাহ করা হচ্ছে।

পুরো রমজান মাসেই এ চাহিদা থাকে বলে জানান গ্রামবাসীরা। ইউরিয়া সারের ব্যবহার ছাড়া হাতে ভাজা এ মুড়ি স্বাদে অতুলনীয়। তাই দিনে দিনে মানুষের কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছে এ মুড়ি।

স্থানীয়রা জানায়, মুড়ির জন্য উপযোগী বিশেষ তিনটি প্রজাতির ধান ফলে দপদপিয়া ইউনিয়নের আশেপাশের এলাকাতে। বিশেষ করে এখানে মোটা, নখুচি ও সাদামোটা নামের তিন প্রজাতির ধানের ব্যাপক ফলন হয়। আগে শুধুমাত্র বউরি ধানের মুড়ির প্রচলন থাকলেও এখন তার চেয়েও সরস ধান হিসেবে নখুচি ধানের মুড়ির কদর বেড়েছে।

দৈনিক গড়ে ৫০ কেজি মুড়ি ভাজতে পারলে খরচ বাদ দিয়ে পাঁচ থেকে ছয়শ টাকা লাভ হয়। তাই স্বল্প পুঁজির মানুষ রমজান মাসে মুড়ি ভেজে কমপক্ষে ২৫ হাজার ও বড় পরিবারগুলো ৪৫ থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করেন। পাইকাররা প্রতিকেজি মুড়ি ৮০ টাকা দরে ক্রয় করলেও খুচরা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকা।

এ গ্রাম থেকে মুড়ি সংগ্রহ করে তা ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ফরিদপুর, চাঁদপুর, ঝালকাঠি ও গোপালগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পাইকারদের হাতে তুলে দেয়া হয়। আরএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত