ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১০ মিনিট আগে
শিরোনাম

চেয়ারম্যান কন্যাকে নিয়ে টানাটানি, সিনেমাকেও হার মানায়

  নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২২ মে ২০১৮, ২০:২৮

চেয়ারম্যান কন্যাকে নিয়ে টানাটানি, সিনেমাকেও হার মানায়

এ যেন এক সিনেমার গল্প! মাকে নিয়ে দুই সন্তানের কান্নাকাটি। অপরদিকে আদালতে এসে স্ত্রীকে নেয়ার জন্য দুই স্বামীর টানাটানি। পরে আদালতে মেয়ের ইচ্ছার উপর ছেড়ে দেয় তার সিদ্ধান্ত।

ঘটনাটি নারায়ণগঞ্জের। মেয়ের নাম নাজিয়া আক্তার মিতু। তার বাবা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা কৃষকলীগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন। পরকীয়ার সূত্রধরে দুই সন্তানকে রেখে ঘর ছাড়েন মিতু। পরে প্রেমিককে বিয়ে করে সংসারী হন।

পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, মিতু তার স্বামী উইসুফ মিয়া ও তাদের দুই সন্তান নিয়ে ফতুল্লার ভূইগড় রূপায়ন টাউনে থাকেন। এখানে থাকা অবস্থায় সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল এলাকার এক সন্তানের জনক আবুল হোসেন সজিবের সঙ্গে পূর্ব পরিচয়ে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে মিতুর।

এ ঘটনা সজিবের স্ত্রী সায়মা আক্তার জানতে পেরে গত বছরের ২৩ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর গত ১৮ এপ্রিল দুই সন্তানকে রেখে রূপায়ন টাউনের বাসা থেকে পালিয়ে যান মিতু। পরে ২৯ এপ্রিল ফতুল্লা মডেল থানায় জিডি করেন মিতুর স্বামী ইউসুফ মিয়া।

এরপর ২৬ এপ্রিল মিতুর স্বামী ইউসুফ মিয়া বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। আসামি করা হয় মিতুর পরকীয়া প্রেমিক, তার ভাইসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এই মামলায় পুলিশ ২০ মে দুপুরে নাজিরা আক্তার মিতুকে ফতুল্লার সস্তাপুর থেকে উদ্ধার করে।

এরপর ২১ মে নারায়ণগঞ্জে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অশোক কুমারের আদালতে নাজিরা আক্তার মিতুকে হাজির করে পুলিশ। আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেন মিতু। জবানবন্দিতে আদালতকে তিনি জানান, ‘তাকে কেউ অপহরণ করেনি। স্বেচ্ছায় তার প্রেমিক আবুল হোসেন সজিবের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছেন।’

শুনানি শেষে মিতু সাবালক, স্বাভাবিক বিবেচনায় তার নিজ জিম্মায় ছেড়ে দেয় আদালত। পরে মিতু আদালতের বাইরে আসলে এখানে দু’পক্ষের টানাটানি শুরু হয় মিতুকে নিয়ে। এই পরিস্থিতিতে মিতু কোন দিকে যাবে নিজেও ঠিক করতে পারছিলেন না। এসময় তার দুই সন্তান মাকে কারো কাছে না যাওয়ার জন্য কান্নাকাটি করতে থাকে। কিন্তু এক পর্যায়ে মিতু তার প্রেমিকের বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে। এসময় কৌশলে ফতুল্লা মডেল থানার এস আই গোলাম মোস্তফা মিতুকে তার বাবার মাইক্রোবাসে তুলে দেন।

মিতু জানান, তার আগের স্বামীকে পূর্বেই তালাক দিয়েছেন। আর সজিব তাকে অপহরণ করেনি। নিজ থেকে স্বেচ্ছায় সজিবের সঙ্গে এসেছেন। সজিবকে তাকে বিয়ে করেছেন।

ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শাহ মঞ্জুর কাদের জানান, মিতু তার বাবার সঙ্গে বাড়িতে চলে গিয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/জেডএইচ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত