ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২০ মিনিট আগে
শিরোনাম

‘বদির হাত দিয়েই বাংলাদেশে ইয়াবা এসেছে’

‘বদির হাত দিয়েই বাংলাদেশে ইয়াবা এসেছে’

গত কিছুদিন ধরে বাংলাদেশে মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হয়েছে৷ অভিযান শুরুর পর থেকে প্রতি রাতেই ৮-১০ জন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা যাচ্ছেন৷ তবে অনেকের অভিযোগ যাকে নিয়ে শুরু থেকে আলোচনা, সেই এমপি আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেয়া হয়নি৷

টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল বশর ডয়চে ভেলেকে বলেন, আমরা কী বলব, আপনি টেকনাফ থানার ওসি আর বিজিবির এই ব্যাটেলিয়নের কমান্ডারের সঙ্গে কথা বলেন, তারাই বলে দেবে বাংলাদেশে ইয়াবা কে এনেছে৷ ২০০৮ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এমপি আছেন বদি সাহেব৷ আমরা দেখি যারা ইয়াবা আমদানির মূল কারিগর, তারা সবাই এমপি সাহেবের আশেপাশে থাকে৷ আশ্রয়-প্রশ্রয়ে থাকে৷ এমপি তাদের শেল্টার দেন৷ তাহলে মানুষ কী বুঝবে? আপনি টেকনাফে এসে মানুষের সঙ্গে কথা বলেন৷ শতকরা ৯৫ জনই বলবেন এমপি বদির মাধ্যমেই ইয়াবা এসেছে বাংলাদেশে৷ মূল হোতাদের এখন এলাকায় দেখছিই না৷

মাদকবিরোধী অভিযানের আগে পাঁচটি রাষ্ট্রীয় সংস্থার সমন্বয়ে মাদক ব্যবসায়ী ও পৃষ্ঠপোষকদের একটি তালিকা তৈরি করে সরকার৷ সেই তালিকায় মাদকের পৃষ্ঠপোষক ছিল কক্সবাজার-৪ আসনের (উখিয়া-টেকনাফ) এমপি আব্দুর রহমান বদির নাম৷ এছাড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তালিকায় এক নম্বরে আছে বদির নাম৷ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করা টেকনাফের শীর্ষ মানব পাচারকারীর তালিকাতেও তার নাম ছিল৷ দেশে মাদক ইয়াবার গডফাদার ও ব্যবসায়ীর তালিকায় টানা ১০ বছর ধরে ছিল বদির নাম৷ কিন্তু গত মার্চ মাসে একটি সংস্থার তালিকা থেকে সেই নাম বাদ দেওয়া হয়৷ তবে সেই তালিকায় বদির পাঁচ ভাই, এক ফুপাতো ভাই, দুই বেয়াই ও এক ভাগ্নের নাম আছে৷ তালিকায় সব মিলিয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ী হিসেবে কক্সবাজারের ৮ উপজেলার ১ হাজার ১৫১ জনের নাম আছে৷ এদের অনেকেই এখন এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন৷

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বদির বিরুদ্ধে কোনো সাক্ষী আমরা পাইনি৷ শুধু নাম থাকলে তো চলবে না৷ প্রমাণ করতে হবে যে তিনি অপরাধী৷ আমরা তার বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ পাইনি৷ প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেব৷ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের কথা তাঁকে জানালে তিনি বলেন, এগুলো বাজে কথা৷ আমি যখন প্রতিমন্ত্রী ছিলাম তখন বদির বহু আত্মীয়স্বজনকে গ্রেপ্তার করেছি৷

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাবেক নির্বাহী পরিচালক নূর খান লিটন ডয়চে ভেলেকে বলেন, যেখানে তালিকার এক নম্বর থাকা ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না, সেখানে নির্বিচারে বন্দুকযুদ্ধের নামে বিচারবর্হিভূত হত্যা মানুষের কাছে সন্দেহের সৃষ্টি করে৷ এভাবে চললে মূল উদ্দেশ্য নিয়েই প্রশ্ন উঠবে৷ এই মাদকবিরোধী অভিযান নিয়ে মানুষ উদ্বিগ্ন৷

  • সর্বশেষ
  • পঠিত