ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

গোপালগঞ্জে অতিবৃষ্টিতে শতাধিক হেক্টর জমির বাদাম নষ্ট

  গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৬ জুলাই ২০১৮, ১৩:০৬

গোপালগঞ্জে অতিবৃষ্টিতে শতাধিক হেক্টর জমির বাদাম নষ্ট

অতিবৃষ্টি আর পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় গোপালগঞ্জের শতাধিক হেক্টর জমির বাদাম নষ্ট হয়ে গেছে। বাদাম পুষ্ট হওয়ার আগেই গাছের গোড়ায় পানি জমে যাওয়ার কারণে বাদাম পঁচে এলাকায় দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ক্ষতির মুখে পড়েছে বাদাম চাষীরা।

এসব বাদাম পানির দামে বিক্রি করতে বাধ্য হওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে কৃষকরা। এলাকার বেশীর ভাগ কৃষক এবার লোকসানে মুখে পড়েছে। আগামীতে যেন একই সমস্যায় তাদের পড়তে না হয় সেজন্য দ্রুত পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করবে কর্তৃপক্ষ এমটাই প্রত্যাশা বাদাম চাষীদের।

সরেজমিন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে গোপালগঞ্জ জেলায় চিনা বাদামের চাষ করা হয়েছে ৯’শ ৫০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় চাষ হয়েছে ৭শ’ ৫০ হেক্টর।

এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফসল হয়েছিল ভালো। কিন্তু, গত কয়েক দিনের অতি বৃষ্টিতে বাদামের জমিতে পানি জমে যায়। এসব পানি সময়মতো নিস্কাশন না হওয়ায় বাদামের গোড়া পঁচে গাছ মরে গেছে।

অতি বৃষ্টির কারণে জেলার সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সদর উপজেলার করপাড়া, কংশুর, বৌলতলী, সাতপাড়, উলপুর, গান্ধিয়াশুর গ্রামের বাদাম চাষীরা। পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এসব গ্রামের বাদামের জমি তলিয়ে গেছে।

এক মন বাদাম উৎপাদন করতে কৃষকদের খরচ হয়েছে প্রায় দুই হাজার টাকা। অথচ বাজারে ভাল মানের বাদাম মন প্রতি আড়াই হাজার বিক্রি হলেও পানিতে নষ্ট হওয়া পরিপক্ক বাদাম বিক্রি হচ্ছে মাত্র চার’শ থেকে ছয়’শ টাকা। ফলে লোকসান গুনতে হচ্ছে বাদা, চাষীদের।

করপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলাম. বাদশা শেখ জানান, এক মন বাদাম উৎপাদন করতে খরচ হয়েছে প্রায় দুই হাজার টাকা। অথচ বাজারে ভাল মানের বাদাম মন প্রতি বিক্রি হচ্ছে আড়াই হাজার থেকে দুই হাজার আট’শ টাকা। সেখানে পানিতে নষ্ট হওয়া বাদাম বিক্রি হচ্ছে চারশো’ থেকে ছয়শ’ টাকা।

গান্ধিয়াশুর গ্রামের ব্রজেন বিশ্বাস জানান. জমিতে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় পানি জমে বাদাম নষ্ট হওয়ায় এলাকার বেশীর ভাগ কৃষক এবার লোকসানে মুখে পড়েছে। আগামীতে যেন একই সমস্যায় না পড়েন সেজন্য তারা বৃষ্টির পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থার দাবী জানিয়েছেন।

অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে বাদাম পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বিষয়টি স্বীকার করে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা হরলাল মধু বলেন, আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলেছি। তারা এসব জমিতে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে তা তিনি বলতে পারেননি।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত