ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২০ মিনিট আগে
শিরোনাম

প্রতিটি গ্রামে মানুষ শহরের সুবিধা পাবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রতিটি গ্রামে মানুষ শহরের সুবিধা পাবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশকে আমরা ক্ষুধামুক্ত করতে পেরেছি। দারিদ্রমুক্ত করার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আজ কিছু দুঃখি মানুষের মুখে হাসি দেখে আমি সত্যিই খুব অভিভূত। বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে আমরা গড়ে তুলবো। প্রতিটি গ্রামে মানুষ শহরের মতো সুবিধা পাবে।’

মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতাধীন সুবিধাভোগীদের ভাতাসমূহ ইলেক্ট্রনিক উপায়ে বিতরণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এমন পরিমাণে ভাতা দেবো যা দিয়ে আপনি খাদ্য কিনতে পারবেন। কিন্তু কাজ আপনাদের করতে হবে। শুধু ভাতার ওপর নির্ভরশীল হলে চলবে না। যারা কর্মক্ষম তারা কাজ করবেন। শুধু ভাতার ওপর নির্ভরশীল হয়ে বসে থাকলে কর্মবিমুখ হয়ে পড়বেন। কারো সংসার চালানোর দায়িত্ব আমরা নেবো না। তবে যে ভাতা দেবো সে ভাতায় আপনাদের খাবারের ব্যবস্থা হবে। বয়স্ক মানুষ যখন ভাতা পায় তখন ছেলে-মেয়েরাও তাকে গুরুত্ব দেয়। তার পারিবারিক ও সামাজিক সমস্যা দূর হয়। তাকে সংসারে বোঝা না ভেবে গুরুত্ব দেওয়া হয়।

তিনি আরো বলেন, ‘আগে ভাতার টাকা ব্যাংক ও পোস্ট অফিসের মাধ্যমে যেতো। এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ। আজ আমরা সেই ডিজিটাল পদ্ধতিতে যার যা প্রাপ্য তার কাছেই পৌঁছে দেবো। কেউ আর কমিশন খেতে পারবে না। সরাসরি টাকা আপনার হাতে পৌঁছে যাবে। প্রতিটি জায়গায় নামের তালিকা করে ডাটাবেজ করে রাখবো। ১ কোটি ৪০ লাখ মা এখন মোবাইল ফোনে টাকা পাচ্ছে তার বাচ্চারা স্কুলে যাচ্ছে সে কারণে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করেছি যার মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল সেবা পাচ্ছি আমরা। ‘৯৬ এ যখন সরকার গঠন করি তথন দেখি ৪০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি। আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম খাদ্য ঘাটতি দূর করতে হবে। তখন বিএনপি ছিল সংসদে বিরোধী দল। সংসদে তারা বলতো খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া যাবে না। তাহলে বাইরে থেকে সাহায্য পাওয়া যাবে না অর্থাৎ ভিক্ষা পাওয়া যাবে না।’

এ সময় বিভিন্ন জেলায় সুবিধাভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নরসিংদীতে একজন প্রতিবন্ধী ও একজন বিধবার সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। পরে কিশোরগঞ্জে বিধবা ভাতা প্রাপ্ত রুমা আক্তার বলেন, ‘আপনি আমাকে যে সহযোগিতা করেছেন সেটা পেয়ে আমার খুব উপকার হয়েছে। এই টাকা আমি সংসারের কাজে লাগাই এবং ওসুধ খাই। আগে শহরে যাইতে হইতো, এখন যে আপনি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে টাকা দিচ্ছেন এটা আমাদের উপকার হবে। আপনাকে আমি আমার অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে দোয়া করি।’ চাপাইনবাবগঞ্জের বিধবা ভাতা প্রাপ্ত নূর জাহান বেগম বলেন, ‘আপনাকে আমি খুব ভালোবাসি। আমার স্বামী মারা গেছে, আমি কষ্টে ছিলাম। যে দিন থেকে বিধবা ভাতা পাচ্ছি সেদিন থেকে খুব ভালো আছি। আপনার জন্য দোয়া করি, আপনি ভালো থাকবেন।’

  • সর্বশেষ
  • পঠিত