চট্টগ্রাম-কুমিল্লায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৩ মাদক ব্যবসায়ী নিহত
চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় তথাকথিত বন্দুকযুদ্ধে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তিন মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
এদের মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরের খুলশী থানায় র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে অজ্ঞতনামা দুইজন এবং কুমিল্লায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন(র্যাব)-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি মিমতানুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার দিনগত রাত দেড়টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর টাইগার পাস এলাকায় সন্দেহজনক একটি মাইক্রোবাসকে চ্যালেঞ্জ করে র্যাবের টহল দল। তখন টাইগার পাসের বাটালী হিলের পাহাড়ি এলাকা লালখান বাজার মতিঝর্ণায় পালিয়ে যায় মাইক্রোটি। র্যাব সেখানে দ্রুত অবস্থান নিয়ে মাইক্রোবাসটি ঘিরে ফেলে।
এ সময় মাইক্রো থেকে কয়েকজন নেমে র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায় র্যাব। গোলাগুলির এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
এ সময় ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ দুইজনকে উদ্ধার করে র্যাব। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন। তবে বন্দুকযুদ্ধে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
র্যাব ঘটনাস্থল থেকে ৮৫ কেজি গাঁজা, একটি অস্ত্র, ৫ রাউজ কার্তুজ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় দুই র্যাব সদস্য সামান্য আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে র্যাব।
এদিকে বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় অন্য এক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ খোরশেদ আলম ওরফে কানা খোরশেদ (৪৮) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহতের বাড়ি দেবিদ্বার উপজেলার গংগানগর গ্রামে। তিনি মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে।
পুলিশের দাবি নিহত খোরশেদ একজন তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। তার বিরুদ্ধে কুমিল্লা, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) দিনগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন দাউদকান্দি উপজেলার হাসানপুর সরকারি কলেজের বিপরীতে এই ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, কুমিল্লা থেকে প্রাইভেটকার যোগে ঢাকায় মাদকের চালান যাচ্ছে, গোপনসূত্রে এমন খবর পেয়ে দাউদকান্দি পুলিশের একটি দল হাসানপুর কলেজের বিপরীতে রাস্তায় অবস্থান নেয় এবং যানবাহনে তল্লাশি শুরু করে।
রাত দেড়টার দিকে তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী খোরশেদ আলমকে বহনকারী প্রাইভেটকার আটক করার সময় তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এসময় পাল্টা গুলি করে পুলিশও। দুই পক্ষের গুলি বিনিময়ের সময় গুরুতর আহত হন খোরশেদ। তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি প্রাইভেটকার, ৮০ কেজি গাঁজা এবং ২ রাউন্ড কার্তুজসহ একটি পাইপগান উদ্ধার করেছে।
এমএ/
