ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

এইচএসসিতে ফেল করায় গলায় ফাঁস

  নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২০ জুলাই ২০১৮, ০৯:৫৩  
আপডেট :
 ২০ জুলাই ২০১৮, ১২:৩৬

এইচএসসিতে ফেল করায় গলায় ফাঁস

এইচএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় বৃহস্পতিবার বিকেলে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে ফাতেমা আক্তার টুম্পা (১৮) নামে এক পরীক্ষার্থী। তার বাড়ি নোয়াখালী পৌরসভার কৃষ্ণরামপুর গ্রামে। এইচএসসির ফল প্রকাশের পর এ নিয়ে দেশের দুটি পৃথক স্থানে দুই তরুণীর আত্মহত্যার কথা জানা গেল।

আত্মঘাতী ফাতেমা কৃষ্ণরামপুর গ্রামের খান বাড়ির নুরুল ইসলাম খানের মেয়ে। সে এবার নোয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজের ব্যবসা শিক্ষা বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল।

বৃহস্পতিবার দুপুরে এইচএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট হওয়ার পর ফাতেমা জানতে পারে সে কৃতকার্য হতে পারেনি। এরপর বাড়ির সকলের অগোচরে সে নিজের ঘরে ঢুকে গলায় ফাঁস দেয়। বিকাল ৫টার দিকে তাকে নিজের ঘরের সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় পরিবারের লোকজন। তারা তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তবে এ ঘটনায় কোনো মমলা দায়ের করা হয়নি। সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও অভিযোগ না থাকায় লাশ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

পরীক্ষায় ফেল করায় ওই একই দিনে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছিল পঞ্চগড়ের শাবনুর আক্তার নামে এক তরুণী। সে জেলা শহরের পূর্ব জালাসীপাড়ার বাসিন্দা রফিকুল ইসলামের মেয়ে এবং পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজের পরীক্ষার্থী ছিল।

তার পরিবার সূত্রে জানা যায়, ইংরেজি পরীক্ষায় ফেল করার কথা জানার পর সে শোবার ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডা. তৌহিদ হাসান জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়েছিল।

গত বছরেও শাবনুর একই বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছিল। তাই এবার সে শুধুমাত্র ইংরেজি বিষয়েই পরীক্ষা দিয়েছিল।

এদিকে শাবনুরের বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, পরীক্ষায় ফেল করায় তাকে কোনো বকাঝকা করা হয়নি। পরীক্ষার ফলাফল শুনে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে শাবনুর। একপর্যায়ে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে সে।

সদর থানা পুলিশের ওসি রবিউল হাসান সরকার পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে ওই তরুণীর আত্মহত্যার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত