ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

নিজ ঘর থেকে স্কুলছাত্রীর বিবস্ত্র-রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার

  পটুয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৫ আগস্ট ২০১৮, ১২:২৫  
আপডেট :
 ১৫ আগস্ট ২০১৮, ১২:৩৪

নিজ ঘর থেকে স্কুলছাত্রীর বিবস্ত্র-রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার রাতে মহিপুর থানার সেরাজপুর গ্রামে নিজ ঘর থেকে তার বিবস্ত্র ও রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, নিহত শিশুটি মহিপুর হাইস্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। সে একই এলাকার ইসমাইল ঘরামী মেয়ে। তবে ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না নিহত শিশুর বাবা ইসমাইল ঘরামী।

এদিকে এ ঘটনার খবর পেয়ে এলাকার লোকজন রাতে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার শুরু করে। ফলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের গ্রামগুলোতেও।

নিহত শিশুর চাচা মো. ইউসুফ ঘরামী জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত ভাই ইসমাইল ঘরামীর ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। এ সময় মা সালামা বেগম দৌড়ে পাশের বাড়ি গিয়ে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার দিয়ে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে ঘরে ছোট্ট দুই শিশুকে দেখতে পেলেও ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ইভাকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ঘরের দোতলায় বিবস্ত্র অবস্থায় শিশুটিকে পাওয়া যায়।

এ সময় স্থানীয়রা তার শরীরের গোপন অঙ্গ দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে দেখে কুয়াকাটা হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।

কুয়াকাটা ২০ শয্যা হাসপাতালের ডা. আরিফুজ্জামান জানান, শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মারা গেছে। তবে প্রাথমিকভাবে তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে তিনি কিছু বলতে পারেননি।

হাসপাতাল থেকে সেরাজপুর গ্রামের আবুল কালাম বলেন, ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা ধারণা করছি।

ওই এলাকার ইউপি সদস্য মো. মামুন হাওলাদার বলেন, হাসপাতালে এসে আমরা শিশুটির গোপনাঙ্গ থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে দেখেছি।

মহিপুর থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান বলেন, এলাকায় ডাকাতের গুজব রয়েছে। তবে কি কারণে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে এটি এখনও স্পষ্ট নয়।

ঘটনাটি ধর্ষণ-পরবর্তী হত্যা কিনা, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার আগে বলা যাবে না। এ ছাড়া শিশুটির মায়ের সঙ্গে কথা বলে ঠিক কী ঘটেছিল তা বোঝা যাবে বলে জানান ওসি।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএস/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত