ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

একসঙ্গে ৬ মৃত সন্তান প্রসব প্রবাসীর স্ত্রীর!

  ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৫ আগস্ট ২০১৮, ২০:৫৬

একসঙ্গে ৬ মৃত সন্তান প্রসব প্রবাসীর স্ত্রীর!

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে একসঙ্গে ৬টি অপরিপক্ব ও মৃত সন্তানের জন্ম দিয়েছেন সৌদি প্রবাসী আবুল কালামের স্ত্রী মাহিনুর আক্তার (২৮)।

মাহিনুর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাখাইতি গ্রামের মো. আব্বাস আলীর মেয়ে এবং একই উপজেলার দেউবাড়িয়া গ্রামের সৌদিপ্রবাসী আবুল কালামের স্ত্রী। বুধবার বিকালে আশুগঞ্জের নুর মেডিকেল সেন্টার নামে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ৬টি মৃত নবজাতক প্রসব করেন তিনি।

নির্ধারিত সময়ের প্রায় অর্ধেক সময়ের আগেই ভূমিষ্ঠ হওয়ায় এসব সন্তানের কিছুটা শারীরিক গঠন ও লিঙ্গ নির্দিষ্ট হলেও পরিপক্বতা হয়নি।

জানা গেছে, প্রায় চার বছর আগে সরাইল উপজেলার শাখাইতি গ্রামের আব্বাস আলীর মেয়ে মাহিনুরের সঙ্গে একই উপজেলার দেউবাড়িয়া গ্রামের লাবু মিয়ার সৌদিপ্রবাসী ছেলে আবুল কালামের বিয়ে হয়।

বিয়ের প্রায় এক বছর পর কালাম দেশে আসেন এবং ৪-৫ মাস অবস্থান করলেও এ দম্পতির কোনো সন্তান হয়নি। পরে কালাম বিদেশে চলে গেলে উভয় পরিবারের লোকজন সন্তানের জন্য মাহিনুরকে বিভিন্ন কবিরাজি ওষুধ খাওয়ান। প্রায় ২ বছর পর কালাম আবারও দেশে আসলে তার স্ত্রী মাহিনুর সন্তান ধারণ করেন।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, মাহিনুরের সন্তানধারণের সময় প্রায় ৫ মাস চলে। তার স্বামী এখন বিদেশে অবস্থান করছেন।

গত মঙ্গলবার বিকালে খাবারের পর মাহিনুরের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। পরে তাকে বুধবার সকালে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মাহিনুরের গর্ভে ৪টি সন্তান থাকতে পারে বলে জানান।

এদিকে চিকিৎসক দেখানোর পর বিকালে বাড়ি ফেরার পথে নৌকায় উঠতে গেলে তার আবার শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় এবং নৌকাতেই একটি সন্তান প্রসব হয়। পরে তাকে দ্রুত নুর মেডিকেল সেন্টারে আবার আনা হলে চিকিৎসকের সহায়তায় একে একে আরও ৫টি সন্তান প্রসব হয়।

চিকিৎসক জানান, কোনো প্রকার অস্ত্রোপচার ছাড়াই (৪টি ছেলে ও ২টি মেয়ে) ৬টি অপরিপক্ব বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হয়েছে। সব বাচ্চার কেবল হাত-পাসহ শারীরিক গঠন হয়েছে।

মাহিনুরের বাবা আব্বাস আলী ও শ্বশুর লাবু মিয়া বলেন, সন্তানের জন্য মাহিনুরকে তার মা ও শাশুড়ি কিছু কবিরাজি ওষুধ খাইয়েছিলেন।

এ ব্যাপারে নুর মেডিকেল ক্লিনিকের চিকিৎসক শাহান আরা জানান, গর্ভধারণে সহায়ক যে কোনো ওষুধ গ্রহণ সহ নানা কারণে মাতৃগর্ভে একাধিক ভ্রূণের জন্ম হতে পারে। মাত্র ৪-৫ মাস বয়সী এ বাচ্চাগুলোর শারীরিক গঠন পূর্ণাঙ্গতা পায়নি। ফলে তারা মৃত অবস্থায় ভূমিষ্ঠ হয়েছে। বর্তমানে মায়ের শারীরিক অবস্থা মোটামুটি ভালো।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত