ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

গোপালগঞ্জে জমে উঠেছে ১৬ পশুর হাট

  গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০১৮, ১১:১৭  
আপডেট :
 ১৯ আগস্ট ২০১৮, ১২:১৫

গোপালগঞ্জে জমে উঠেছে ১৬ পশুর হাট

গোপালগঞ্জে জমে উঠেছে ১৬টি পশুর হাট। এসব হাটগুলোতে ব্যাপক সংখ্যক পশুর আমদানি থাকায় দূর-দূরান্ত থেকে ক্রেতা এসে কিনছেন তাদের পছন্দমতো গরু। অন্যদিকে ভারতীয় গরু না আসায় বেশি দাম পাওয়ায় খুশি বিক্রেতারা। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ গত বছরের চেয়ে এবার দাম বেশি।

জেলার কয়েকটি পশুর হাট ঘুড়ে জানা গেছে, ঈদে গরু কোরবানী দিতে গোপালগঞ্জের পশুর হাটে ভীড় করছেন নানা বয়সের মানুষ। এসব হাট জমাতে এ বছর দেশিয় পদ্ধতিতে ২৮ হাজার গরু ও সাড়ে ৪ হাজার ছাগল মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে। এছাড়াও জেলার বাইরের গরুর আমদানিও চোখে পড়ার মতো।এখন পর্যন্ত হাটগুলো ভারতীয় গরু দখল না করায় দেশি গরুর চাহিদ বেশি। হাটগুলোতে সবোর্চ্চ ২ লাখ টাকা থেকে সর্বনিম্ন ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত গরুর দাম উঠেছে। যে পরিমান গরু-ছাগল গোপালগঞ্জে মোটাতাজা করা হয়েছে তা বিভিন্ন জেলায় রপ্তানিও করা হচ্ছে। চাঁদ রাত পর্যন্ত চলবে এ বেচাকেনা।

এদিকে ভারতীয় গরু না আসায় স্থানীয় গরুর উপরই ভরসা করতে হচ্ছে ক্রেতাদের। হাটে ঘুরে ফিরে দর-দাম করে গরু কিনলেও গত বছর থেকে এবছর গরুর দাম বেশি বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। তবে শেষ মুহুর্তে গরুর দাম কমবে বলে অপেক্ষায় রয়েছেন অনেকে। দাম বেশি এমন অভিযোগ অস্বীকার করে বিক্রেতারা জানান, দেশি গরু হলেও দাম ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে। ভারতীয় গরু না আসায় এ বছর লাভের আশা করছেন তারা।

জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস জানায়, গোপালগঞ্জে বাণিজ্যিকভাবে গরু মোটাতাজাকরণের খামার গড়ে উঠেছে। প্রতিদিন ট্রাকে করে এসব গরু বিক্রির জন্য নেয়া হচ্ছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। তাছাড়া অন্য জেলার ব্যাবসায়ীরাও গোপালগঞ্জের হাট-বাজার থেকে গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছে। এ বছর পশু খাদ্যের দাম বেশি থাকায় গরু পালনে খরচও একটু বেশি পড়েছে ।

জেলা শহরের রউফ ইসলাম, সেকেন্দার আলী, ইসমাইল শেখ জানান, কয়েকটি হাট ঘুরে দেখেছি। হাটগুলোতে ভারতীয় গরু না আসায় দেশি গরু বেশি। তাই দামও বেশি। তারপরেও ঘুরে ফিরে দর-দাম করে গরু কিনবো।

গরু ব্যবসায়ী একরাম শেখ, তনজিল মিয়া জানান, এ বছর ভারতীয় গরু বাজারে আসেনি। তাই দেশি গরুর চাহিদা বেশি। প্রাকৃতিক ঘাস ও খড় খাইয়ে গরু মোটাতাজা করেছি। শেষ মুহুর্তে ভারতীয় গরু না আসলে লাভবান হব।

গোপালগঞ্জ জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা: আজিজ আল মামুন জানান, এ বছর জেলার ১৬টি পশুর হাটের জন্য ৮টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। হাটে বিক্রির জন্য গরু পরীক্ষা করা হচ্ছে যাতে কোন রুগ্ন ও রোগাক্রান্ত গরু বিক্রি না হয়। পশুর মাংস পরীক্ষা করে বিষাক্ত অপদ্রব্য পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত