ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়

কমলাপুরে বিড়ম্বনায় যাত্রীরা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০১৮, ১২:৩৭  
আপডেট :
 ১৯ আগস্ট ২০১৮, ১২:৪৯

কমলাপুরে বিড়ম্বনায় যাত্রীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনে ঈদযাত্রার তৃতীয় দিনে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড় থাকলেও ট্রেন ছাড়তে দেরি হচ্ছে আগের দিনের মতোই। এতে এক প্রকার অপেক্ষা আর ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা।

রোববারের ট্রেনের সূচি অনুযায়ি সকাল ৬টায় কমলাপুর থেকে দিনের প্রথম আন্তঃনগর ট্রেন ধূমকেতু এক্সপ্রেস রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটি ছেড়ে যায় এক ঘণ্টা দেরিতে, সকাল ৭টার পর। খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস সকাল ৬টা ২০ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও সেটি সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে স্টেশন ছাড়ে। চিলাহাটির নীলসাগর এক্সপ্রেস সকাল ৮টায় কমলাপুর ছাড়ার কথা, তবে ট্রেনটি স্টেশনেই আসে বেলা ১০টা ৫ মিনিটে। পৌনে ১১টার সময়ও ট্রেনটি ছাড়েনি। বেলা ৯টার রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন বেলা ১১ টা পর্যন্ত প্ল্যাটফর্মে আসেনি। দিনাজপুরের এক্সপ্রেস সকাল ১০টায় কমলাপুর ছাড়ার কথা থাকলেও সেটি পৌনে ১১টায় কমলাপুরে এসে বেলা ১১টায় স্টেশন ছেড়ে যায়। লালমনিরহাট ঈদ স্পেশাল ট্রেন ছাড়ার কথা বেলা ৯টা ১৫মিনিটে। তবে বেলা ১১টা পর্যন্ত সেটি স্টেশনেই আসেনি। রেলওয়ে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে ট্রেনটি ছাড়ার সম্ভাব্য সময় দিয়েছে। ঢাকা-চিলাহাটি রুটের নীলসাগর ট্রেনের কমলাপুর ছেড়ে যাওয়ার কথা সকাল ৮টায়। দুই ঘণ্টা ৫ মিনিট দেরি করে বেলা ১০টা ৫ মিনিটে ট্রেনটি কমলাপুরের প্ল্যাটফর্মে আসে। দীর্ঘসময় অপেক্ষায় থাকা যাত্রীরা ট্রেনে ওঠার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু করেন।

যাত্রীদের ভিড়ে ট্রেনের দরজা দিয়ে স্ত্রীকে নিয়ে ঢুকতে পারছিলেন না বাড্ডার একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক ফরিদ আহমেদ। উপায় না দেখে, স্ত্রীকে জানালা দিয়ে ট্রেনে উঠিয়ে দেন তিনি। অনেক কসরত করে পরে নিজে ওঠেন।

তিনি বলেন, দরজায় যে ভিড়, ধাক্কাধাক্কি করে উঠতেই পারতাম না। কি আর করবো, ট্রেন ঠিক সময়ে এলে এই ঝামেলাটা হত না।

এই ট্রেনের আরেক যাত্রী এমদাদ উল্লাহ বিরক্তি প্রকাশ করে জানান, প্রতি ঈদেই রংপুর এক্সপ্রেস দেরি করে, আর আমাদের এই দুর্ভোগ হয়। সকাল থেকে বসে আছি, গরমে অস্থির লাগছে।

লালমনিরহাটের ঈদ স্পেশাল ট্রেনে বগুড়ায় যাবেন চট্টগ্রামের স্কুল শিক্ষক রফিকুল ইসলাম। শনিবার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এসে এক আত্মীয়র বাসায় ছিলেন। রোববার বেলা ৮টায় স্টেশনে এসে বসে থাকলেও ১১টা পর্যন্ত ট্রেনের দেখা পাননি। রফিকুল বলেন, সঙ্গে বাচ্চারা আছে। তারা খুব কষ্ট পাচ্ছে গরমে। সোয়া ৯টায় ট্রেন ছাড়ার কথা ছিল, কিন্তু এখনও ট্রেন আসেইনি। কখন আসবে তাও কেউ বলতে পারছে না।

দিনাজপুরের একতা এক্সপ্রেসের জন্য কমলাপুরে অপেক্ষা করা ফেরদৌসী নুজুলা জানান, আমাদের ট্রেনের সংখ্যা তো কম। এজন্য এটুকু কষ্ট মেনে নিতেই হবে। বাড়ি যেতে পারছি এটাই তো অনেক বেশি। আসলে ঈদের সময় ছাড়া ট্রেন কিন্তু ঠিক মতোই ছাড়ে। সমস্যা হয় না।

কমলাপুরের স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্ত্তী বলেন, শনিবার তেজগাঁওয়ে একটি ট্রেন এক ঘণ্টা আটকে থাকায় অন্য ট্রেনগুলো দেরি করেছে। গতকাল যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় অন্য ট্রেনগুলো ছাড়তে দেরি হয়েছে। সেগুলো ফিরতেও দেরি হয়েছে।

এছাড়া অতিরিক্ত যাত্রীর চাপেও ট্রেন যেতে দেরি হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ঈদের সময় যাত্রীদের চাপ অনেক বেশি থাকে। প্রতিটি স্টেশনে যাত্রী ওঠা-নামায় সময় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি লাগে। যে কারণে ট্রেনগুলো গন্তব্যে দেরি করে পৌঁছায়। সেখান থেকে ফিরতেও দেরি হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত