সেপ্টেম্বরেই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়: আইনমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০১৮, ১৬:৫৮
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিচারিক আদালতে এ মামলার রায় দেয়া সম্ভব হবে। আমরা অপেক্ষা করছি, রায়টি হলে দেশ আরো একটি দায় থেকে মুক্তি পাবে।
রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিদেশ থেকে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় ফাঁসি কার্যকর এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দ্রুত বিচারের দাবিতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী চাইলে এ বিচার স্পেশাল ট্রাইবুন্যালের মাধ্যমে তিনদিনেই বিচার করতে পারতেন। কিন্তু তিনি সেটা না করে সাধারণ আইনি প্রক্রিয়ায় বিচার কাজ করছেন।
তিনি বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পর এখনো ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাই। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার যেসব তথ্য বেড়িয়েছে তাতে দেখা গেছে ষড়যন্ত্র ছিল।
আনিসুল হক বলেন, সর্বশেষ আসামি হিসেবে বাবরের (লুৎফর জামান বাবর) যুক্তিতর্ক আগামী ২৬, ২৭ ও ২৮ আগস্ট উপস্থাপন হবে। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হলেই রায় দেয়ার পালা। আশা করছি, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই আদালত এ মামলার রায় দিতে পারবে।
তিনি বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আসামি ৫২ জন। এর মধ্যে ১৭ জন পলাতক। এ মামলায় আদালতে ২২৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। এছাড়া আসামিদের প্রত্যেককে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের যথেষ্ট সুযোগ দেয়া হয়েছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা পলাতক আসামিদেরকে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করা হবে। যিনি আমেরিকার পলাতক আছেন তাকে আইনি প্রক্রিয়ায় ফিরিয়ে আনবো। আমেরিকার সাথে আমাদের ভালো বন্ধুত্ব আছে, তারা সহযোগিতা করবে। আরেকজন কানাডায় আছে, তাকেও আইনি প্রক্রিয়ায় ফিরিয়ে আনা হবে।
‘বিএনপি জনগণের দল নয়, তারা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার দল’ উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, যখনই বাংলাদেশ মাথা তুলে দাঁড়াতে চায়, বাংলাদেশের মানুষ অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে তখনই একটি কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করে। সেই মহল বিএনপি । তারা বিদেশের সাথে আমাদের সুসম্পর্ক নষ্ট করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি আরও বলেন, গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে নির্বাচন হবে। কোন দল নির্বাচনে আসবে কি আসবে না সে জন্য নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে এটা হতে পারে না। নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্যই এবারও শেখ হাসিনার সরকারকে জয়ী করাতে সবাইকে আহ্ববানও জানান আনিসুল হক।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন।
বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে