ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

চাহিদার চেয়ে বেশি পশু মজুদ রয়েছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

চাহিদার চেয়ে বেশি পশু মজুদ রয়েছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

দেশে চাহিদার বেশি কোরবানির পশু মজুদ রয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। রোববার দুপুরে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, এবার পশুর চাহিদা এক কোটি ১৫ লাখ হতে পারে। আমাদের হিসাব অনুযায়ী পশুর মজুদ রয়েছে এক কোটি ১৬ লাখের মতো। এ ছাড়া গৃহস্থালী পর্যায়ে অনেকের একটি-দুটি করে গরু রয়েছে। সেগুলোসহ কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা এক কোটি ২৫ লাখের কম নয়। সেখানে এক কোটি ১৫ লাখ চাহিদা হলে বাকী পশু উদ্বৃত্ত থেকে যাবে।

তিনি বলেন, দেশে কোরবানির পশু নিয়ে কোন প্রকার ঘাটতি নেই। সঙ্কটের আশঙ্কা নেই। এবার দেশি গরুতেই কোরবানির ঈদ সম্পন্ন হবে বলে আমরা মনে করছি। আমাদের পশুর স্টক (মজুদ) যথেষ্ট রয়েছে। কোনো ঘাটতি নেই। এবার যে পরিমাণ পশু অর্থাৎ গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ দরকার হবে সেগুলো আমাদের দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে।

মন্ত্রী বলেন, গত বছর এক কোটি ৪ লাখ লাখের মতো পশু কোরবানি হয়েছে। এবার অনেক লোকের আর্থিক সংগতি বেড়েছে, সে হিসেবে কোরবানি বাড়তে পারে। তাছাড়া সামনে নির্বাচন। প্রার্থীরা অনেক সময় একটির স্থানে দুটি পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন। তাই সব মিলিয়ে আমরা মনে করছি- এবার পশুর চাহিদা এক কোটি ১৫ লাখ হতে পারে।

প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, এবার কোরবানির পশু নিয়ে সঙ্কটের কোনো আশঙ্কা নেই। আমি গতকাল এলাকা থেকে এলাম। আমাদের ওখানে (খুলনায়) বড় বড় দুটি পার্মানেন্ট (স্থায়ী) হাট আছে। বৃহস্পতিবার সেই হাট বসে। গত বৃহস্পতিবার সেই হাট হয়ে গেছে। এবার ওই হাটে বিপুল সংখ্যক গরু এসেছে, একটি গরুও ভারতের নয়। বিক্রি হওয়ার পরও অনেক গরু রয়ে গেছে। আমরা আশা করি শেষ মুহূর্তে কোনো ক্রাইসিস (সঙ্কট) হবে না। কিছু গরু উদ্বৃত্তই থাকবে।’

এবার কোরবানির পশুর দাম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এবার পশুর দাম বিক্রেতা ও ক্রেতা উভয়ের জন্য সহনীয় আছে। দামের বিষয়ে ক্রেতারা বলছেন একটু বেশি, খামারিরা বলছেন একটু কম। এখন পর্যন্ত যে রিপোর্ট আমাদের কাছে আছে, তাতে দাম উভয় পক্ষের জন্যই সহনীয়।

তিনি বলেন, পশু উৎপাদনের আমাদের যে ধারা শুরু হয়েছে, আমরা চাচ্ছি সেটা সাসটেইনেবল (টেকসই) হোক। আমাদের খামার ব্যবস্থা ও গরু-মহিষ পালনের দিকটা অনেক বেশি উন্নত হয়েছে। এ বিষয়ে সরকারও খামারিদের বিভিন্নভাবে প্ররোচিত করেছে। অনেক শিক্ষিত বেকাররা এখন সুন্দর সুন্দর খামার তৈরি করেছে। আমাদের দেশে এখন কয়েক লাখ খামার হয়েছে। সেখানে অত্যন্ত যতœসহকারে স্বাস্থ্যকরভাবে গবাদিপশু লালন-পালন করা হচ্ছে। এবার হাটগুলোতে প্রচুর গরু এবং সব গরুরই চেহারা সুন্দর- যোগ করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী।

অন্যদেশ থেকে গরু আনতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের উৎপাদন চাহিদার চেয়ে বেশি রয়েছে। তাই অন্য দেশ থেকে গরু আনতে আমরা নিরুৎসাহিত করছি। এ ছাড়া মানুষের ঝোঁকও কিন্তু দেশি গরুর প্রতি। তারপরও সীমান্ত দিয়ে পাশের দেশ থেকে কিছু গরু আসতে পারে। তবে তা অনেক কম, হিসাবের মধ্যে পড়ে না- বলেন মন্ত্রী।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত