ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

সন্দ্বীপবাসীর নির্বাচিত সেবক হতে চান ডা. জামাল উদ্দিন

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৮:৫০  
আপডেট :
 ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৬:৩০

সন্দ্বীপবাসীর নির্বাচিত সেবক হতে চান ডা. জামাল উদ্দিন

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসন থেকে আওয়ামী লীগের হয়ে মনোনয়ন পাওবার জোর প্রত্যাশায় আছেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী।

বিগত নির্বাচনে এই আসন থেকে সংসদ সদস্য হন মাহফুজুর রহমান মিতা। কিন্তু আওয়ামী রাজনীতিতে বিপক্ষ রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের সুযোগ-সুবিধা প্রদান, দুর্নীতি, নিজ অনুসারী না হওয়ায় মামলা দিয়ে হয়রানি ও সময় মতো মূল দল ও অঙ্গসংগঠনের কমিটিতে যোগ্যদের স্থান না দেয়ায় মিতার ওপর সন্দ্বীপের মানুষের ক্ষোভ বেড়েছে বলে অভিযোগ আছে।

এজন্য মিতার বিপরীত অবস্থান নিয়েছে সেখানকার আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্যরা। এসবের প্রভাব পড়ছে জামাল উদ্দিন চৌধুরীর ওপর।

কি বুঝে নির্বাচনে লড়ার কথা ভাবলেন- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ২০০৮ সালেও আমি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাই। বর্তমানে আমার এলাকায় আওয়ামী লীগের বর্তমান রাজনীতিক অবস্থা শোচনীয়। এমন অবস্থায় জনগণ আমাকে সমর্থন দিচ্ছে, তারাই আমাকে আগামী দিনের নেতৃত্বে দেখতে চাচ্ছে। জনগণের ইচ্ছে অনুযায়ী-ই আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের কথা ভেবেছি।

চক্ষু বিশেষজ্ঞের পাশাপাশি জামাল উদ্দিন চৌধুরীর রয়েছে বর্ণাঢ্য সাংগঠনিক ক্যারিয়ার। একাধারে তিনি আওয়ামী লীগপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল প্র্যাকটিশনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) কেন্দ্রীয় সদস্য।

অন্যদিকে, সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্বপ্রাপ্ত।

এছাড়া আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক, ঢাকা মেডিকেল কলেজের সাবেক ভিপি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, ১৯৯৬ সালে গঠিত সম্মিলিত পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারীও ছিলেন এই চিকিৎসক।

সন্দ্বীপের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে সেখানে কী কী উন্নয়নের পরিকল্পনা আপনার? এমন প্রশ্নে- ঢাকাস্থ সন্দ্বীপ সমিতির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন বলেন, সেখানে সবচেয়ে বড় সমস্যা যোগাযোগ ব্যবস্থা, নৌপথই একমাত্র উপায়। শুষ্ক মৌসুম ছাড়া সেখানে নৌপথে যাওয়া অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। ইচ্ছে আছে- সেখানে কিছু মজবুত জেটি ও ভাসমান পল্টুন নির্মাণ ও সময়োপযোগী নৌযান নামানোর। এসব ছাড়া সেখানকার মানুষের ভাগ্যে নিরাপদ ও সুষ্ঠু যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। এছাড়া খুবই উন্নতমানের বেড়িবাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনাও আছে।

সন্দ্বীপের প্রবাসীদের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ১৯৯৬ সালে গঠিত ঐতিহাসিক জনতার মঞ্চের অন্যতম উদ্যোক্তা চিকিৎসক জামাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সন্দ্বীপে প্রচুর প্রবাসী আছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। কিন্তু তারা প্রশিক্ষিত নন। স্বপ্ন দেখি- সেখানে একটি সরকারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণের।

সন্দ্বীপের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, সেখানের একমাত্র সরকারি হাসপাতালটি ৫০ বেডে উন্নীত হয়েছে এ সরকারের আমলেই। কীভাবে এই হাসপাতাল থেকে সেখানের মানুষ সর্বোচ্চ সেবা পেতে পারেন, একজন চিকিৎসক হিসেবে সে ব্যবস্থা অবশ্যই গুরুত্বসহ নিশ্চিত করব। সেখানে দুটো সি-অ্যাম্বুলেন্স পড়ে আছে। চালকের অভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে না। এ বিষয়ে আমি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সাথে কথা বলেছি। আশা করছি- দ্রুত এর সমাধান হবে।

একুশে আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় আহত ডা. জামাল সন্দ্বীপের সরকারি কলেজের কথা স্মরণ করেন হতাশার সাথে। তিনি বলেন, এই সরকারের আমলে এই কলেজ এতটা বেহাল হয়ে থাকতে পারে না। দেশে কতই না উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে, কিন্তু সন্দ্বীপ সরকারি টিকে আছে মুরগির মতন। এই কলেজের অবকাঠামো দিকসহ সমস্তদিকের উন্নয়ন করা আমার খুবই ইচ্ছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত