ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রী

‘বাণিজ্য ঘাটতি থাকলেই অর্থনীতি খারাপ বলা যাবে না’

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২০:৫৩  
আপডেট :
 ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২১:১৪

‘বাণিজ্য ঘাটতি থাকলেই অর্থনীতি খারাপ বলা যাবে না’

সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বাণিজ্য ঘাটতি থাকলেই যে অর্থনীতি খারাপ এটা বলা যাবে না। কারণ বর্তমান সরকারের আমলে দেশের সার্বিক চিত্রই পাল্টে গেছে। প্রতিটি গ্রাম এখন শহরে রূপ নিতে শুরু করেছে। গ্রামীণ অর্থনীতি এখন যে কোন সময়ের চেয়ে চাঙ্গা। তাই একদিন আমরাও বাণিজ্য ঘাটতি পূরণ করতে পারবো। বাণিজ্য ঘাটতি একদিন থাকবে না। ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের রফতানি একশ’ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সরকার দলীয় সদস্য সামশুল আলম চৌধুরীর সম্পুরক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

রপ্তানির তুলনায় আমদানি তিনগুণ বেশি- এমন দাবি নাকচ করে দিয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, কথাটি সত্য নয়। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দেশের আমদানির পরিমাণ ছিল ৫৮ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩৬ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। উক্ত অর্থবছরে আমদানিতে রপ্তানির অবদান ছিল ৬৯ দশমিক ২৫ ভাগ।

তিনি আরো বলেন, চীন, ভারত ও সিঙ্গাপুরের সঙ্গে আমাদের বড় বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমরা প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করি, কিন্তু ওই দেশটি আমাদের দেশে এক বিলিয়ন ডলারও রপ্তানি করতে পারে না। ইউরোপীয় ইউনিয়নে আমরা প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করি, সেক্ষেত্রে তারা আমাদের দেশে এক বিলিয়ন ডলারও রপ্তানি করতে পারে না। সে কারণে বাণিজ্য ঘাটতি থাকলেই যে খারাপ এটা বলা যাবে না। পার্শ্ববর্তী দেশ হওয়ার কারণে চীন ও ভারত থেকে বেশি পণ্যে আমদানি করা হয়। কিন্তু এখন আমরা চীনে তৈরি পোশাকসহ অনেক কিছুই রপ্তানি করি।

মন্ত্রী জানান, বাণিজ্য ঘাটতি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেশ কিছু কারণ রয়েছে। যদিও দীর্ঘ মেয়াদে বাণিজ্য ঘাটতি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ হ্রাস করার জন্য সরকার ইতোমধ্যেই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। গত বছর বন্যায় বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় উৎপাদন ঘাটতি পূরণে বিপুল পরিমাণ খাদ্য শস্য আমদানির ব্যয় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া রপ্তানিমুখী শিল্পের কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতির আমদানির কারণে এই খাতে ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে।

সংসদ সদস্য নবী নেওয়াজের প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ জানান, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা দুই দেশের পণ্যে বিক্রির উদ্যোগ হিসেবে বর্ডার হাট বসানো হয়। সরকার আরো কয়েকটি জায়গায় বর্ডার হাট বসানোর পরিকল্পনা করছে। আর বর্ডার হাট বসানো একটি ভাল সিদ্ধান্ত ছিল। এরইমধ্যে যেসব হাট বসে সেগুলোতে দুই দেশের ব্যাপক ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিত হন। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশে আসবেন। ওই সফরেই বর্ডার হাটের বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে।

ডিপি/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত