ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

বিষপানে প্রতারণা: প্রেমিকার প্রত্যাখ্যানে প্রেমিকের আত্মহত্যা

  মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৮:৫১

বিষপানে প্রতারণা: প্রেমিকার প্রত্যাখ্যানে প্রেমিকের আত্মহত্যা
ফাইল ছবি

স্থানীয় সালিশে প্রকাশ্য প্রেমিকার প্রত্যাখ্যান আর চাচার শাসনে ক্ষিপ্ত হয়ে সাহেদ হোসেন (১৯) নামের এক যুবক আত্মহত্যা করেছে। সে উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের লালপুর গ্রামের হাসন আলীর ছেলে। একটি গ্রাম্য সালিশে রাতেই অভিমান করে গাছের সাথে গলায় ফাঁস দেয় যুবকটি।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের পাল্লাকান্দি চা বাগানের ভেতর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে কুলাউড়া থানা পুলিশ। পুলিশ দাবী করছে যুবকটি প্রেম সংঘটিত ঘটনায় আত্মহত্যা করেছে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এডিশনাল এসপি (কুলাউড়া সার্কেল) আবু ইউছুফ।

নিহত যুবকের প্যান্টের পকেট হতে চার পৃষ্ঠার লেখা একটি চিরকুটও পেয়েছে পুলিশ। চিরকুটে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে বলে সূত্র নিশ্চিত করে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান কুলাউড়া থানার এস. আই. বাদল।

এদিকে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক একটি পক্ষ ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে বলে খবর জানান স্থানীয়রা। একটি পক্ষ সালিশ উপস্থিত ব্যক্তিদের নামে মামলা করতে নিহতের পরিবারকে উস্কে দিচ্ছে।

একটি অনুসন্ধানে জানা গেছে, নিহত সাহেদ হোসেনের সাথে একই গ্রামের একটি মেয়ের সাথে দীর্ঘ ২ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি উভয় পরিবার ভালো চোখে দেখেনি বিধায় ২০-২২ দিন আগে প্রেমিক-প্রেমিকা এক সাথে আত্মহত্যার পরিকল্পনা করে। আত্মহত্যার জন্য সাহেদ নিজ হাতে বিষের বোতল দিয়ে আসে মেয়েটিকে। পরক্ষনে মেয়েটি বিষপান করলেও সাহেদ বিষপান থেকে বিরত ছিল। অন্যদিকে মেয়েটি বিষপানে মারাত্মক অসুস্থ হলে পরিবারের পক্ষ থেকে দ্রুত চিকিৎসা নিলে সুস্থ হয়ে উঠে মেয়েটি।

এদিকে মেয়েটির বিষ পানের পর এলাকাজুড়ে শুরু হয় তোলপাড়। মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয়দের কাছে বিচারপ্রার্থী হলে উভয় পরিবারের অভিভাবকদের নিয়ে গ্রাম্য সালিশ অনুষ্ঠিত হয় গত ১২ সেপ্টেম্বর রাতে। সালিশে ছেলে-মেয়ের পক্ষ হতে প্রেমের বিষয়টি স্পষ্ট হয়। পরে মেয়েটির চিকিৎসা খরচ হিসেবে ছেলে পক্ষ থেকে ৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়। এক পর্যায়ে ছেলেটির চাচা আছকির আলী সাহেদকে চড় থাপ্পড় মারেন আর এক বার কান ধরে উঠবস করান। একসঙ্গে আত্মহননের পরিকল্পনা থাকলেও সাহেদ প্রতারণা করেছে জানিয়ে তাকে প্রকাশ্য প্রত্যাখ্যান করে মেয়েটি।

সালিশ শেষে রাতে চা বাগানে গাছের সাথে গলায় ফাঁস দেয় সাহেদ। ভোরে চা-বাগানের চৌকিদার ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখে আশপাশের লোকজনকে ডাকে। পরে পুলিশকে খবর দিলে এসআই বাদল ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠান।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত