আমতলীতে স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
বরগুনা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৮:০১
বরগুনার আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের কলাগাছিয়া ইউনুচ আলী খান জুনিয়র স্কুলের অষ্টম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর ধর্ষকসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, কলাগাছিয়া ইউনুচ জেআর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীর সাথে বাগেরহাট জেলা সদরের পৌরসভার বাসিন্দা মো: আব্দুল জলিল এর ছেলে মেহেদি হাসানের (২৫) মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মেহেদি বর্তমানে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার তাপবিদুৎ কেন্দ্রে শ্রমিকের কাজ করেন।
প্রেমের এ সূত্র ধরে গত ৩ সেপ্টম্বর সোমবার সকাল ৯টার সময় মেয়েটি স্কুলে যাওয়ার সময় মেহেদি তার বন্ধুদের সহায়তায় গোছখালী গ্রামের জব্বার পঞ্চায়েতের বাড়ির সামনে থেকে মোটরসাইকেল যোগে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
পরে মেয়েটিকে কলাপাড়া উপজেলার একটি ভাড়া বাসায় আটকে রেখে ১১ দিন ধরে ধর্ষণ করে। রবিবার সকাল সাড়ে ৭টার সময় মেয়েটিকে তার বাড়ি পৌঁছে দেয়ার জন্য উত্তর গোছখালী গ্রামে নিয়ে আসে মেহেদি।
এসময় খবর পেয়ে আমতলী থানার পুলিশের এসআই মো: ফারুকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ মেয়েটির বাড়ির সামনে থেকে ধর্ষক মেহেদি হাসান ও তার সহযোগী মো: মুন্নাকে আটক করে এবং ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এদিন সকালে ধর্ষিতার বাবা আমতলী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতনের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আলাউদ্দিন মিলন জানান, স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলায় সহযোগীসহ প্রধান আসামি মেহেদি হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে বরগুনার শিশু আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ জার্নাল/কে
