রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কাজ করছে ভারত: শ্রিংলা

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে কাজ করছে ভারত। তিনি জানান, বাংলাদেশের প্রয়োজনে সবসময় ভারত পাশে থেকেছে।

সোমবার দুপুরে উখিয়ার বালুখালি ১২ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মানবিক সহায়তা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তীব্র দাবদাহ: চাঁদের আলোয় ধান কাটছেন চাষিরা

তিনি বলেন, দমন নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেয়া বাস্ত্যুচূত মিয়ানমারের নাগরিকদের দ্রুত ও নিরাপদ প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে ভারত কাজ করছে। ভারত বাস্ত্যুচূত মানুষের দু:খ দূর্দশা বুঝতে পারে। তাদের সহায়তায় বাংলাদেশের প্রচেষ্টা প্রশংসনীয়। এই বাস্ত্যুচূত মানুষের সহায়তা প্রদানের জন্য বাংলাদেশের পাশে থাকতে ভারত মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখবে।

শ্রিংলা বলেন, দু' দেশের সম্পর্কের ভিত্তি বিশ্বাস, বন্ধুত্ব, শহীদের আত্মত্যাগ কিংবা যেকোনো কৌশলগত সম্পর্কের উর্ধ্বে। বন্ধুত্বের চেতনায় ভারত বাংলাদেশের বোঝা হালকা করতে এগিয়ে এসেছে, ভবিষ্যতেও আসবে।

এই ভারতীয় কূটনীতিক বলেন, রাখাইন রাজ্যে আড়াই শতাধিক বসতবাড়ি নির্মাণ করছে ভারত। যার কাজ প্রায় শেষ। এছাড়া মুংড়ুর কিং সাং নামক গ্রামে ৫০ টি বাড়ি ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। এসব বাড়ি নির্মাণের উদ্দেশ্য হচ্ছে উৎখাত হওয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে সহায়তা করা।

শ্রিংলা আরও বলেন, গত এক বছরে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হওয়া বিপুল সংখ্যক মানুষকে বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়েছে। এই মানবিক আচরণ ভারত ও সংশ্লিষ্ট সবার কাছে প্রশংসিত হয়েছে। বাংলাদেশের প্রতিবেশি বন্ধু ও অংশীদার হিসেবে বাস্তুচ্যূত মানুষের ঢল শুরু হওয়ার মুহূর্ত থেকেই বাংলাদেশের পাশে ছিল ভারত। এরই ধারাবাহিকতায় তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশকে ১ বিলিয়ন লিটার সুপার কেরোসিন তেল এবং ২০ হাজার কেরোসিন স্টোভ ত্রাণ হিসেবে দেয়া হয়েছে।

ত্রাণ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামাল, শরণার্থী ত্রান ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সভাপতি হাফিজ আহমেদ মজুমদার , বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব ফিরোজ সালাউদ্দিন এবং ভারতের বিদেশ মন্ত্রক যুগ্ম সচিব বিক্রম দোরাইস্বামী প্রমুখ। অনুষ্ঠান শেষে ২৫০ রোহিঙ্গাকে কেরোসিন তেল ও স্টোভ বিতরণ করা হয়।

সোমবার ঢাকা থেকে একটি ফ্লাইটে সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছায় শ্রিংলার নেতৃত্বে ১০ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল। সেখান থেকে তারা সমুদ্র পাড়ের একটি হোটেলে গিয়ে সকালের নাস্তা সারেন। এরপর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মেরিন ড্রাইভ (সৈকতঘেঁষা সড়ক) দিয়ে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের উদ্দেশে গাড়িযোগে যাত্রা করেন শ্রিংলা।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসএস