হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের পর যুবককে পানিতে নিক্ষেপ
বরগুনা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৯:৫৬
বরগুনার আমতলী উপজেলার মহিষডাঙ্গা গ্রামে সোলায়মান (২৫) নামে এক যুববকে হাত, পা, মুখ বেঁধে মারধর করে পানিতে নিক্ষেপের পর বুকের উপর গাছের গুঁড়ি চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার সকালে স্বজন এবং স্থানীয়রা দেখে তাকে উদ্ধার করে আমতলী হাসপাতালে ভর্তি করে। সোলায়মান ওই গ্রামের আবু হানিফ হাওলাদারে মেয়ের জামাই। ওই বাড়িতে সে ৩ বছর ধরে ঘরজামাই থাকে। আমতলীর আঠারগাছিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর বন্দরের আব্দুল গাজীর ছেলে সোলায়মান।
আহত সোলায়মান জানান, ৩ বছর আগে ২০১৫ সালে আমতলী সদর ইউনিয়নের মহিষডাঙ্গা গ্রামের আবু হানিফ হাওলাদারের মেয়ে হনুফাকে বিয়ে করে সেখানে বসবাস করে আসছেন। গত ৪-৫ দিন আগে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হলে সোলায়মান বাড়ি চলে যান। সেখান থেকে রোববার রাত ৯টার সময় মহিষডাঙ্গা ফিরে শ্বশুর বাড়ির সামনের সড়কে একটি দোকানে বসে ছিলেন। এসময় রাত সাড়ে ৯টার সময় মটর সাইকেল যোগে ৪-৫ জন যুবক এসে তাকে মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে তার হাত পা এবং মুখ বেধে শ্বশুর বাড়ির বাগানে গর্তে থাকা পানির মধ্যে নিক্ষেপ করে তার বুকের উপর গাছের গুঁড়ি চাপা দিয়ে রেখে যায়।
তিনি জানান, সকাল ৬ টার সময় ওই বাগানের পাশ দিয়ে পারুল নামে এক নারী পুকুরে ওযু করতে যাওয়ার সময় এ অবস্থা দেখে ডাক চিৎকার দেয়। পরে এলাকাবাসী এবং সোলায়মানের শ্বশুর আবু হানিফ হাওলাদার এবং তার স্ত্রী হনুফা আক্তার এসে তাকে উদ্ধার করে আমতলী হাসপাতালে নিয়ে আসে।
সোলায়মান আরো জানান, তার স্ত্রী এবং শ্বশুরের সাথে মনোমালিন্য রয়েছে। স্ত্রী তার কথা শুনেনা বলেও জানান।
আহত সোলায়মানের শ্বশুর আবু হানিফ জানান, রাতের আধারে আমার জামাইকে কে বা কারা মারধর করেছে তা আমি জানি না।
আমতলী হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার নিখিল চন্দ্র জানান, সোলায়মানের বুকে প্রচণ্ড ব্যথা রয়েছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আলাউদ্দিন মিলন জানান, এবিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেডআই
