ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

ইসলাম শিক্ষা পড়ান হিন্দু শিক্ষক!

  মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২২:১৯

ইসলাম শিক্ষা পড়ান হিন্দু শিক্ষক!

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোনো মুসলমান শিক্ষকই নেই। তাই বাধ্য হয়ে হিন্দু শিক্ষকরাই পড়াচ্ছেন মুসলিম ধর্ম শিক্ষার বই। এতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে ছাত্র-শিক্ষক উভয়কে। ফলে ১০০ নম্বরের আবশ্যক বিষয় ইসলাম শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মুসলমান ছাত্র-ছাত্রীরা।

জানা যায়, কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের আমানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৬ মাস থেকে ইসলাম ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের পাঠদান চলছে হিন্দু শিক্ষক দিয়ে। বিদ্যালয়ে কোনো মুসলিম শিক্ষক না থাকায় হিন্দু ধর্মের শিক্ষকরা বাধ্য হয়ে ইসলাম ধর্ম বিষয়ের পাঠদান করতে গিয়ে নিজেরা যেমন বিব্রত, তেমনি শিশু বয়সে ধর্মীয় বিষয়ের প্রকৃত শিক্ষাগ্রহণ থেকে স্কুলের ৯০ভাগ মুসলিম শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে।

এদিকে আগামী ১৮ নভেম্বর পঞ্চম শ্রেণীর সমাপনী পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। এত কম সময়ে ওই স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা কিভাবে পরীক্ষার শেষ প্রস্তুুতি নিবে। এমন প্রশ্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের।

শিক্ষা বোর্ড সাধারণ পাঠ্য পুস্তকের পাশাপাশি সব ধর্মের শিক্ষার্থীদের জন্য ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা নামে একটি বই সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করে। কিন্তু কুলাউড়া উপজেলার আমানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোনো প্রকার মুসলিম শিক্ষক না থাকায় এ বিষয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

এই নিয়ে বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। এতে করে শিক্ষার্থীরা তাদের ধর্মীয় সঠিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় অভিভাবকরা।

সরেজমিন উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের আমানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ৫ জন হিন্দু শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। শিক্ষকদের সবাই হিন্দু ধর্মাবলম্বী হওয়ায় তৃতীয় শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পযর্ন্ত ইমলাম ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের ক্লাস নিতে বাধ্য হন হিন্দু শিক্ষকরা।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রাণ কিশোর ভট্টাচার্য জানান, বিদ্যালয়ের ২০১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৯০ ভাগই প্রায় মুসলিম শিক্ষার্থী। চলতি বছরের ১৪ মার্চ থেকে স্কুলে কোনে ধর্মীয় শিক্ষক নেই। এতে করে মুসলিম শিক্ষার্থীদের ইসলামী শিক্ষাগ্রহণে কিছুটা ক্ষতি সাধিত হচ্ছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আয়ুব উদ্দিন মুঠোফোনে বলেন, এই বিষয়টি একদিন আগেই আমাকে জানানো হয়েছে। শিক্ষক পরিবর্তন করার কোনো সুযোগ আমার হাতে নেই। শিক্ষক বদলির সুযোগ থাকে বছরের জানুয়ারি-মার্চ মাস পর্যন্ত। যদি ওই স্কুল ও আশপাশের স্কুল থেকে দুজন শিক্ষক যদি পারস্পরিক বদলির জন্য আমাদের কাছে লিখিত আবেদন করে, তবে আমরা ওই স্কুলে শিক্ষক প্রদান করতে পারবো। ইতোমধ্যে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করেছি।

জেডআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত