মিথ্যা অপহরণ মামলা দায়ের, অতঃপর
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৭:১২
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে সাজানো অপহরণ মামলার ভিকটিম সাইফুল ইসলাম পরাগকে (৩১) পুলিশ উদ্ধার করেছে।
গোপন সংবাদে খবর পেয়ে সোমবার রাতে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানার ওয়াজপুরে আত্মগোপনে থাকাবস্থায় সাজানো অপহরণ মামলার এই ভুয়া ভিকটিম পরাগকে উদ্ধার করে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ।
এর আগে গত বছরের ১৯ এপ্রিল পরাগের বাবা নুরুল আমিন বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে বাদী হয়ে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ভুয়া ও সাজানো এই মামলাটি দায়ের করেন। এরপর আদালত চন্দ্রগঞ্জ থানাকে মামলাটি নথিভুক্ত করার নিদের্শনা দিলে পুলিশ মটবী গ্রামের জয়নালের ছেলে সিরাজ, শাহজান কবির ও বটতলী গ্রামের মৃত উদ্দিম আলীর ছেলে মোঃ হানিফসহ আরো অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনকে অভিযুক্ত করে ২১ এপ্রিল মামলা নং-১২ রেকর্ডভুক্ত করেন।
কিন্তু মামলাটি ভুয়া ও হয়রানির উদ্দেশ্য করায় এ যাবত আসামীরা ধরা না পড়লেও শেষ পর্যন্ত আত্মগোপনে থাকা অপহৃত পরাগকে উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ, এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীরা জানায়, চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন মটবী গ্রামের তুলাতলী ক্ষুদ্র সমবায় সমিতির অফিসের সেক্রেটারি ও অপহরণ মামলার কথিত ভিকটিম সাইফুল ইসলাম পরাগ এবং তার বড় ভাই ফখরুল ইসলাম ফারুক সভাপতির দায়িত্বে থাকাবস্থায় প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ১২০ জন সদস্যের প্রায় ১ কোটি টাকা আমানত আত্মসাৎ করে।
কিন্তু আমানতকারীরা তাদের টাকা ফেরত চাইলে, তা দিতে না পারায় সাইফুল ইসলাম পরাগ গত বছরের ১৫ এপ্রিল সবার অগোচরে প্রথমে চট্টগ্রাম ও পরে ঢাকা সদরঘাটে গিয়ে বৈদ্যুতিক কাজে প্রশিক্ষণ নেয় এবং পরে কেরানীগঞ্জ ওয়াজপুর এলাকায় বৈদ্যুতিক মিস্ত্রির কাজ করে আত্মগোপনে থাকে। এরই মধ্যে আমানতকারীরা তাদের টাকা ফেরতের জন্যে অন্যদের উপর চাপ সৃষ্টি করলে পরাগের বাবা নুরুল আমিন এবং তার ভাই প্রতারণা ও কৌশলের আশ্রয় নিয়ে গত বছরের ১৫ এপ্রিল বিকালে মটবীর তুলাতলী ক্ষুদ্র সমবায় সমিতির অফিসের সামনে থেকে পরাগকে অপহরণের সাজানো নাটক সাজায়।
এতে ভুয়া অপহরণ মামলার এজাহারে উল্লেখিতদের বিরুদ্ধে আসাসি করে হয়রানি করে আসছে বলে ভিকটিম স্বীকার করে বলে জানায় থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানায়।
তিনি জানান, সাইফুল ইসলাম পরাগকে মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ সহ বাদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা দায়ে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেডআেই