ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

জামালপুরে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, তলিয়ে গেছে ফসলের জমি

জামালপুরে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, তলিয়ে গেছে ফসলের জমি

যমুনার পানি বেড়ে জামালপুরে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে তলিয়ে গেছে ফসলের জমি। বন্যায় নদীর পাড়ের গ্রামগুলোতে ভাঙন আতঙ্ক বিরাজ করছে।

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার ৪ ইউনিয়ন ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ২টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

দেওয়ানপাড়া, ডেবরা পেইচ,পুর্ব বলিয়াদহ,পশ্চিম বলিয়াদহ, শিংভাঙ্গা, ধর্মকুড়া, চিনাডুলি, বমনা, বড়াইলপাড়া, কুলকান্দিসহ নিম্নাঞ্চল এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এসব এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করায় পাঠদান ব্যহত হচ্ছে। পানি বন্দী মানুষজন খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি সংকটে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। নিম্নাঞ্চলগুলোতে বন্যার পানি প্রবেশ করায় চলতি আমন আবাদসহ শাক সবজির ফসলি মাঠ তলিয়ে গেছে।

ইসলামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: সাখাওয়াত হোসেন জানান, ইসলামপুর উপজেলাতে ৯ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছে। ইতোমধ্যে চিনাডুলি,পার্থশি,নোয়ারপাড়া ও কুলকান্দি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। ফসলহানির আশংকায় হতাশ হয়ে পড়েছে এখানকার কৃষকেরা। উপজেলার বাকী অঞ্চলের কৃষকদের মধ্যে বন্যা আতংক দেখা দিয়েছে।

ড্যাবরাপেইচ গ্রামের কৃষক খোরশেদ আলম জানান, এক একর জমিতে আমন ধানের চাষ করেছি। পুরো ফসল এখন পানির তলে। জমি তৈরি, সেচ ও কিটনাশক ব্যবহারে ইতোমধ্যে ১৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। পানি কয়েকদিন থাকলে বীজ পচে যাবে। এবার বছরের খাবার কিভাবে জুটবে খুবই দু:শ্চিন্তায় আছি।

খোরশেদের মতো যমুনা পাড়ের কৃষক জনু শেখ,বকুল শেখ, ইমান আলী, মিয়ার মোল্লা ও ছাত্তারসহ অনেকেই ধানের আবাদ নিয়ে বিপাকে পড়েছে।

পশ্চিম চিনাডুলি গ্রামে যমুনার পানীর তীব্র স্রোতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সেখানে ঘরবাড়ি গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

শিক্ষক সামসুদ্দিন ও কৃষক আব্বাস আলী জানান, যমুনার পানির স্রোতে তাদের এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। তাদের ঘরবাড়ী, ১০/১৫টি গাছপালা বিলীন হয়ে গেছে। গ্রামবাসীকে সাথে নিয়ে বাঁশ দিয়ে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

যমুনা পাড়ের গ্রামগুলোতে সর্বত্র বন্যা আতঙ্ক বিরাজ করছে। পরিবার পরিজন ও গবাদি পশু নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা।

জেডআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত