ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

সরকারি চাকরিজীবীদের ৫% সুদে গৃহঋণের আবেদন অক্টোবরে

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৪:১৩  
আপডেট :
 ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৫:৩৯

৫% সুদে গৃহঋণের আবেদন অক্টোবরে

সরকারের ব্যবস্থাপনায় ব্যাংক থেকে স্বল্প সুদে গৃহঋণ পেতে, আগামী ১ অক্টোবর থেকে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন সরকারি চাকরিজীবীরা। এ সুবিধার আওতায় মাত্র ৫ শতাংশ সরল সুদে তারা ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত গৃহনির্মাণ ঋণ নিতে পারবেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আপাতত রাষ্ট্রায়ত্ত চার বাণিজ্যিক ব্যাংক সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক এবং বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন (বিএইচবিএফসি) থেকে ৫ শতাংশ সুদে গৃহঋণ নিতে পারবেন সরকারি চাকরিজীবীরা।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান বলেন, চলতি মাসের শেষ দিকে চার ব্যাংক ও বিএইচবিএফসির সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারকে (এমওইউ) সই করবে অর্থ বিভাগ। তারপর ১ অক্টোবর থেকে অনলাইনে আবেদন করা যাবে।

ইতোমধ্যে ঋণ আবেদনের অভিন্ন ফরম তৈরি করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি সারসংক্ষেপে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত অনুমোদন দিয়েছেন।

নতুন এই নীতিমালায় বলা হয়েছে, বাড়ি (আবাসিক) নির্মাণের জন্য একক ঋণ, জমি ক্রয়সহ বাড়ি (আবাসিক) নির্মাণের জন্য গ্রুপ ভিত্তিক ঋণ, জমিসহ তৈরি বাড়ি কেনার জন্য একক ঋণ এবং ফ্ল্যাট কেনার জন্য ঋণ এই গৃহ নির্মাণ ঋণের আওতায় আসবে।

সরকারি চাকরিতে স্থায়ীভাবে নিয়োগপ্রাপ্তরাই কেবল এ ঋণের আবেদন করতে পারবেন; রাষ্ট্রায়ত্ত ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি, পৃথক বা বিশেষ আইন দ্বারা সৃষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা এ ঋণ পাওয়ার যোগ্য বিবেচিত হবেন না।

সরকারি চাকরিজীবীরা বর্তমানে ১০ শতাংশ সুদে গৃহঋণ নিতে পারেন। আবার বেতন কাঠামো অনুযায়ী যে ঋণ তারা পান, তা দিয়ে অনেক ক্ষেত্রে আবাসনের মালিক হওয়ার সুযোগ তাদের হয় না।

নবীন কর্মীরাও যেন একটি ফ্ল্যাট বা বাড়ির মালিক হতে পারেন সেজন্য একটি নীতিমালা করার কথা জানিয়ে গত জুন মাসে অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, জুলাইয়ে শুরু হওয়া নতুন অর্থবছর থেকেই তা কার্যকর হবে।

এরপর ৩০ জুলাই অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ‘সরকারি কর্মচারীদের জন্য ব্যাংকিং-ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহ নির্মাণ ঋণ প্রদান নীতিমালা-২০১৮’ প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হয়।

সেখানে বলা হয়, চাকরি স্থায়ী হওয়ার পাঁচ বছর পর থেকে সরকারি চাকরিজীবীরা এই ঋণ পাওয়ার যোগ্য হবেন। আর আবেদনের জন্য সর্বোচ্চ বয়সসীমা হবে ৫৬ বছর।

এ ঋণের সীমা ঠিক করা হয়েছে ২০ লাখ থেকে ৭৫ লাখ টাকা। ঋণ পরিশোধের জন্য সর্বোচ্চ সময় হবে ২০ বছর।

এ ঋণের জন্য ব্যাংক গড়ে ১০ শতাংশ হারে সুদ নেবে, তবে ঋণগ্রহীতাকে দিতে হবে ৫ শতাংশ। বাকিটা সরকারের পক্ষ থেকে পরিশোধ করা হবে ভর্তুকি হিসাবে।

ডিপি/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত