ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

অন্তর্জ্বালা থেকে মনগড়া বই লিখেছেন সিনহা: কাদের

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৩:০৬  
আপডেট :
 ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৩:১০

অন্তর্জ্বালা থেকে বই লিখেছেন সিনহা: কাদের

সাবেক হওয়ার অন্তর্জ্বালা থেকেই সুরেন্দ্র কুমার সিনহা মনগড়া বই লিখেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব সব কথা বলেন।

এর আগে, গত বুধবার সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বই ‘অ্যা ব্রোকেন ড্রিম: রুল অব ল, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি’ প্রকাশিত হয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এস কে সিনহা সাবেক হয়ে গেছেন। সাবেক হওয়ার অন্তর্জ্বালা আছে। কী পরিস্থিতিতে সাবেক হয়েছেন, তা সবাই জানে। বই লিখে মনগড়া কথা বলবেন বিদেশে বসে, সেটা নিয়ে কথা বলার কোনও প্রয়োজন আছে? ক্ষমতা যখন থাকে না তখন অনেক অন্তর্জ্বালা তৈরি হয়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখন বইতে যা লিখেছেন, তখন তা (প্রধান বিচারপতি থাকা অবস্থায়) বলার সৎ সাহস একজন বিচারপতির কেন ছিল না? এখন বিদায় নিয়ে কেন পুরানো কথা নতুন করে বলছেন, যা খুশি তাই বলছেন। এটা হয়, এটা হতেই পারে? এ নিয়ে আমরা কোনও মন্তব্য করতে চাই না।

তিনি আরো বলেন, তিনি (এস কে সিনহা) যদি সত্যই বলতেন, তাহলে যখন প্রধান বিচারপতি ছিলেন তখন বললেন না কেন? সত্য কথা দেশের জনগণের মাঝে এসে বললেন না কেন? এখন বিদেশে বসে আপন মনে ভুতুড়ে কথা বলছেন। এটা আমাদের ও দেশের মানুষের বিশ্বাস করতে হবে? এর যৌক্তিকতা নাই।

রাজনীতিতে নতুন জোট গঠন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, দলে দলে জনে জনে যে ঐক্যের কথা আসছে। এতে করে কি জনমনে কোন প্রভাব ফেলবে? শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের কি জনপ্রিয়তা কমে যাবে? আমার বিশ্বাস তাদের এ দলের সংখ্যা বাড়িয়ে, এদেশে এক সময় ৭৬ পার্টির ঐক্যে হয়েছিল। এটা কি জনমনে কোনো প্রভাব ফেলতে পেরেছে? আমাদের আস্থা আছে, বাংলাদেশের জনমত শেখ হাসিনার পক্ষে রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, নেতায় নেতায় ঐক্য হলে জনতার মধ্যে কোনো প্রভাব ফেলবে না। দেশের বর্তমান চিত্র অনুযায়ী এই মুহূর্তে জনমনে কোনো প্রতিফলন হবে না। নেতায় নেতায় ঐক্য, দলে দলে ঐক্য যতই হোক জনগণ প্রভাবিত হবে না। এটাই আমাদের অভিজ্ঞতা।

বিএনপির নেতাদের জাতিসংঘে যাওয়া প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিবও তাদের ডেকেছিলেন। কিন্তু পরে জানা গেল, জাতিসংঘের মহাসচিব তাদের আমন্ত্রণ করেন নাই। এটা এখন দিবালোকের মতো পরিষ্কার। তারা জাতিসংঘের প্রধান ফটকে গিয়ে বারবার অনুরোধ করে একটা তৃতীয় পর্যায়ের কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। বিএনপি জাতিসংঘের মহাসচিবের আমন্ত্রণপত্র নিয়ে মিথ্যাচার করেছে, প্রতারণা করেছে। এতে তারা দেশের জনগণকে অপমানিত করেছে, গণতন্ত্রকে অসম্মান করেছে।

বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন প্রমুখ।

ডিপি/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত