ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

গোপালগঞ্জে ‘গুরুজনে কর নতি’ অনুষ্ঠান পালিত

  গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৫:১১  
আপডেট :
 ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৬:৩০

গোপালগঞ্জে ‘গুরুজনে কর নতি’ অনুষ্ঠান পালিত

গোপালগঞ্জে ব্যতিক্রমী “গুরুজনে কর নতি” অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মা-বাবার পা-ধোয়ালো প্রায় দুই লক্ষ শিক্ষার্থী। জেলা প্রশাসন ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে জেলার ১১’শ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

রোববার সকাল ১০টায় জেলা শহরের যুগশিখা স্কুলে এ কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার। বিণাপাণি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নিরুনাহার ইউসুফ, বিণাপাণি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোসাম্মদ শাম্মী আক্তার, এসএম মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও প্রথামিক বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শান্তি মণি চাকমা উপস্থিত ছিলেন।

এরপর এক যোগে জেলার ১১শ প্রাথমিক, উচ্চবিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় এ কর্মসূচী পালন করা হয়। এতে প্রায় দুই লাখ শিক্ষার্থী তাদের মা ও বাবার চরণ ধুয়ে মুছিয়ে দেয়। এ সময় পিতা-মাতারা তাদের সন্তানদের মাথায় হাত রেখে আর্শিবাদ করেন এবং সন্তান ও পিতা-মাতারা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

এছাড়া কোটালীপাড়ার রামশীল কলেজ, জেলা শহরের গোপালগঞ্জ আইডিয়াল একাডেমি, সোনালীস্বপ্ন একাডেমিসহ জেলা ও উপজেলা এবং গ্রামের বিদ্যালয়গুলোতে এই কর্মসূচী পালিত হয়। এর আগে স্ব-স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসব আলোচনা সভায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা এ কর্মসূচীতে অংশ নিতে পেরে আনন্দিত বলে জানায়। এর মাধ্যমে সন্তানেরা নীতি ও নৈতিকতা শিখবে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার বলেন, জেলার প্রায় দুই লাখ শিক্ষার্থী বাবা-মায়ের পা ধোয়ানো অনুষ্ঠানে যোগ দেয়। শিশুদের মৌখিক উপদেশে প্রত্যাশিত ফল পাওয়া যায় না। এ জন্য মাতা-পিতা, শিক্ষক ও গুরুজনের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের এটি ব্যবহারিক কার্যক্রমের আয়োজন করা। এতে প্রতিটি কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীর মনে পিতা-মাতা, শিক্ষক ও গুরুজনদের প্রতি শ্রদ্ধা-ভক্তি ও সম্মান প্রদর্শনের মানসিকতা গড়ে উঠবে।

উল্লেখ্য, গত বছর থেকে জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের অনুষ্ঠান শুরু করা হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/কে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত