ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

কক্সবাজারে ১০ দেশের ৫২ সাংবাদিক

  কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৬ অক্টোবর ২০১৮, ০৮:৪৭

কক্সবাজারে ১০ দেশের ৫২ সাংবাদিক
৫২ সাংবাদিক

সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড সম্পর্কে জানতে কক্সবাজারে এসেছেন পৃথিবীর দশটি দেশের ৫২ জন সাংবাদিক। তাদের মধ্যে জাপান, ভারত, ব্রাজিল, দক্ষিণ কোরিয়া, কানাডা, ফিলিফাইন, ইথোপিয়া, সৌদি আরব, ওমান ও তুরস্কের সাংবাদিক রয়েছেন।

গতকাল সন্ধ্যায় তারা কক্সবাজারে আয়োজিত ‘চতুর্থ জাতীয় উন্নয়ন মেলা’ পরিদর্শন করেন। এরপর উপভোগ করেন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রাত সাড়ে ৮ টার দিকে জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেনের আহ্বানে উন্নয়ন মেলার মঞ্চে উঠেন বিদেশী সাংবাদিকরা। নয়াদিল্লীতে সারা ভারতের যে প্রেসক্লাব, যার সদস্য প্রায় ৬ হাজার সাংবাদিক। সেই ‘প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়া’র সভাপতি গৌতম লাহিড়ীও ছিলেন এ সাংবাদিকদের দলে। যিনি বাংলাদেশের পরম বন্ধু হিসেবে পরিচিত।

মঞ্চে যাওয়া সাংবাদিকদের মধ্যে প্রথমে কথা বলেন ভারতের বাংলাদেশ দুতাবাসে কর্মরত কুটনীতিক ও প্রাক্তন সাংবাদিক মো: ফরিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘যারা এখানে এসেছেন তারা বাংলাদেশকে নিয়ে লিখতে চান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে যে উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে গেছেন সেই কথাগুলো তারা সবাইকে বলতে চান।’

পরে কথা বলেন, গৌতম লাহিড়ী। তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে ঢাকা এবং কক্সবাজারসহ আরও কয়েকটি জায়গা পরিদর্শন করবো। মূলত উদ্দেশ্য হলো, গত ১০ বছরের সেই বার্তাগুলো, সেই সংবাদগুলো মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। তাতে যদি কোথাও কোন ত্রুটি থাকে সেই ত্রুটির কথাও বলা হবে। কিন্তু সার্বিকভাবে উন্নয়নের যে চেহারা আমাদের চোখে পড়েছে সেটি তুলে ধরাই আমাদের উদ্দেশ্য। সেই জন্য আমরা কৃতজ্ঞ বাংলাদেশ সরকারে কাছে। তারা আমাদের জন্য এই ধরনের একটি সফরের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘বিশ্বের আরেকটি বিস্ময় হলো কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। যা বিশ্বের বিস্ময় হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি না পেলেও ইতোমধ্যে মানুষের কাছে বিস্ময় হিসেবে প্রোথিত।’

রোহিঙ্গা সংকটকে পৃথিবীর অন্যতম মানবিক বিপর্যয় উল্লেখ করে গৌতম লাহিড়ী বলেন, ‘এই বিপর্যয়কে বাংলাদেশের মতো একটি দেশ তাদের মানবিক মর্যাদা দিয়েছে। এবং তাদের থাকা, খাওয়ার, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সার্বিকভাবে লক্ষ্য রেখেছেন এটা দেখে আমরা অভিভূত। বাংলাদেশ সরকার তার সীমিত ক্ষমতার মধ্যেই যতটা সম্ভব ততটা করেছে। মিয়ানমারের নাগরিকরা যখন কার্যত বিপদগ্রস্ত হয়ে এখানে আশ্রয় নেওয়া শুরু করেন তার পরে আমি ফেব্রুয়ারী মাসে এসছিলাম এখানে। দেখেছি তাদের অবর্ণনীয দুর্দশা। কিন্তু এই আট মাসের মধ্যে সেই চিত্র পাল্টে গেছে। এই সময়ে এখানকার সরকার প্রভুত পরিমানে পরিকাঠামোগত যে উন্নয়ন করেছে তা পুরো বিশ্বের কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রয়োজন আছে।’ প্রসঙ্গত, কক্সবাজার জেলায় বর্তমানে প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। টাকার অংকে যা দেশের বার্ষিক বাজেটের প্রায় অর্ধেক। বাস্তয়ানাধীন ৬৯টি প্রকল্পগুলোর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিক ভিত্তিক মেগা প্রকল্প রয়েছে ১২টি। যেগেুলো বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে ক্রমে পাল্টে যাচ্ছে কক্সবাজারের চেহারা।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত