ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১২ মিনিট আগে
শিরোনাম

ডিজিটাল নিরাপত্তা বিলে রাষ্ট্রপতির সই

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০১৮, ১৫:১৫

ডিজিটাল নিরাপত্তা বিলে রাষ্ট্রপতির সই

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

মো. জয়নাল আবেদীন জানান, রাষ্ট্রপ্রধান সোমবার বহু আলোচিত ওই বিলে সই করেন।

রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পর কোনো বিল আইন হিসেবে গণ্য হয়। এখন এটি গেজেট আকারে প্রকাশ করবে সরকার।

বিভিন্ন মহলের আপত্তির মধ্যে ১৯ সেপ্টেম্বর সংসদে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস করা হয়।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বলা হয়েছে, আইনটি কার্যকর হলে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা বাতিল হবে। এ ছাড়াও পরোয়ানা ও কারও অনুমোদন ছাড়াই তল্লাশি ও গ্রেপ্তার করতে পারবে পুলিশ।

এ ছাড়াও এই আইনে ঔপনিবেশিক আমলের সমালোচিত আইন ‘অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’ সংযোজন করা হয়েছে। তা ছাড়াও আইনের ১৪টি ধারার অপরাধ হবে অজামিনযোগ্য। বিশ্বের যেকোনো জায়গায় বসে বাংলাদেশের কোনো নাগরিক এই আইন লঙ্ঘন করলে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বিচার করা যাবে।।

২০০৬ সালের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনা ছিল। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের সময় থেকে সরকার তরফ থেকে বলা হয়েছিল ওই আইনের ৫৭ ধারা বাতিল করে নতুন আইনে বিষয়গুলো স্পষ্ট করা হবে।

বিভিন্ন মহল থেকে সবচেয়ে বেশি আপত্তি এসেছে এ আইনের ৩২ ধারা নিয়ে। সেখানে বলা আছে, যদি কোনো ব্যক্তি অফিশিয়াল সিক্রেট অ্যাক্ট-১৯২৩ এর আওতাভুক্ত কোনো অপরাধ কম্পিউটার, ডিজিটাল ডিভাইস, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, ডিজিটাল নেটওয়ার্ক বা অন্য কোনো ডিজিটাল মাধ্যমে সংঘটন করে বা করতে সহায়তা করেন, তা হলে তিনি সর্বোচ্চ ১৪ বছরের কারাদণ্ড বা ২৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

এ আইনের অধীনে সংঘটিত অপরাধের জন্য বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি, জব্দ ও গ্রেপ্তারে পুলিশকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোতে বেআইনি প্রবেশ সর্বোচ্চ ৭ বছরের জেল, ২৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

এদিকে সরকারের তিন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকরা ওই আইন সংশোধেনর দাবি জানিয়ে এসেছেন। সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনের পাশাপাশি বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাও ওই আইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিষয়গুলো সরকারকে সংশোধন করে নিতে বলেছে।

তবে গত ৩ অক্টোবর গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অপরাধী মন না হলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই।

জেডআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত