নৌমন্ত্রীর আশ্বাসে কোটা বহালের আন্দোলন স্থগিত
মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহলের দাবিতে শাহবাগে অবস্থান নিয়ে ষষ্ঠ দিন অবরোধ চালানোর পর কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
সোমবার সন্ধ্যার পর নৌমন্ত্রী শাজাহান খান আন্দোলনকারীদের মধ্যে উপস্থিত হয়ে এই আন্দোলনের নেতৃত্ব নিয়ে কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন।
মন্ত্রী সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শাহবাগে উপস্থিত হয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন। এ সময় ‘মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ’র মুখপাত্র ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আকম জামাল উদ্দীন আন্দোলনের নেতৃত্ব শাজাহান খানের হাতে তুলে দেন। এসময় এর মঞ্চের নতুন নাম দেওয়া হয় ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মঞ্চ’। তখন শাজাহান খান আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন ও তা স্থগিত করেন।পরে শাজাহান খান ওই মঞ্চের নতুন নেতৃত্ব হিসেবে মেজর জেনারেল হেলাল মোর্শেদ খানকে আহ্বায়ক ও ওসমান আলীকে সদস্য সচিব করে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মঞ্চ’ ঘোষণা করেন। তারা দুইজনই বীর মুক্তিযোদ্ধা।
এ সময় নৌপরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘শাহবাগে কয়েকদিন যাবৎ আমাদের সন্তানেরা কোটা বহালের দাবিতে আন্দোলন করছেন। তাদের দাবিকে কীভাবে ধীরে ধীরে সফল করা যায়, তা নিয়ে আমরা বসেছি। কীভাবে রাজাকারের সন্তানদের নির্মূল করতে পারি, তা নিয়ে আমরা বসেছি। বাংলার মাটিতে মুক্তিযুদ্ধের সন্তানদের ঠাঁই হবে। প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধাদের ভালোবাসেন।’
তিনি এ সময় অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করার ঘোষণা দেন ও ১৪ তারিখ পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান।
তিনি বলেন, ‘১৪ অক্টোবর সেগুন বাগিচাতে সংবাদ লম্মেলন করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। আমরা রক্ত দেবো, তারপরও রাজাকারের সন্তানদের নির্মূল করে ছাড়বো।’
মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আকম জামাল উদ্দীন বলেন, ‘আপনারা জানেন কোন প্রেক্ষাপটে আমরা এখানে এসেছি। আমাদের আন্দোলনের যারা একাত্মতা জানাতে এসেছেন, তাদের হাতে আমরা আন্দোলনের নেতৃত্ব তুলে দিলাম। তাদের নেতৃত্বের মাধ্যমে আমরা আমাদের দাবি আদায় করবো। তরুণ প্রজম্মের আন্দোলন এখন ‘মুক্তিযুদ্ধ চেতনা মঞ্চ’র হাতে দেওয়া হয়েছে।’
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মঞ্চের সদস্য সচিব ওসমান আলী বলেন, প্রথমে আমরা এই আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করছি। আমরা মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহালের দাবিতে সারা বাংলাদেশে ঐক্য আন্দোলন গড়ে তুলবো। দাবি আদায় না করে ঘরে ফিরবো না।’
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মঞ্চের সদস্য ইসমত কাদেরী গামা বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করা হয়েছে, যার জন্য আমাদের সন্তানেরা আন্দোলন করছে। এ দাবি আদায় না হলে আমরা সারাদেশে সমাবেশ করবো। এর পরও যদি আমাদের দাবি আদায় না হয়, তাহলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আমরা মহাসমাবেশ করবো।’