ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

তারেক রহমানের ফাঁসি চান জজ মিয়া

তারেক রহমানের ফাঁসি চান জজ মিয়া

আওয়ামী লীগের সমাবেশে ২০০৪ সালে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

একই সঙ্গে বিচারক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাবেক বিশেষ সহকারী আবদুল হারিছ চৌধুরীসহ ১৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বাকি আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদের দণ্ড এবং পলাতকদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

বুধবার দুপুরে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন এ রায় ঘোষণা করেন।

এই মামলার শুরু থেকেই যে নামটি সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছে, তিনি হলেন জালাল ওরফে জজ মিয়া। তাকেই প্রথমে এই মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছিল। পরে তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত হন জজ মিয়া। দীর্ঘ কারাভোগের পর তিনি এখন মুক্ত।

নারকীয় সেই গ্রেনেড হামলা মামলায় বলির পাঁঠা হওয়া জজ মিয়া এই রায়ে সন্তুষ্ট, আবার কিছুটা অসন্তুষ্টও। তিনি বলেন, ‘১৪ বছর পর রায় পাওয়ায় সন্তুষ্ট। কিন্তু মামলার মূলহোতার ফাঁসির দণ্ড না হওয়ায় তিনি কিছুটা অসন্তুষ্ট।’ মূলহোতা বলতে তিনি তারেক রহমানের নাম উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি চাই তার ফাঁসি হোক।’

আপিলের রায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মৃত্যুদণ্ড চেয়ে তিনি বলেন, ‘আশা করেছিলাম তারেক রহমানের ফাঁসি হবে, কিন্তু তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এখন রাষ্ট্রপক্ষ হয়তো উচ্চ আদালতে আপিল করবে। উচ্চ আদালতের রায়ে তারেক রহমানের ফাঁসি হোক এটাই আমার চাওয়া।’

এর আগে বেলা ১২টার দিকে এ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ের সময় ৩১ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলার প্রধান লক্ষ্য ছিলেন দলীয় প্রধান ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা। মামলাটি তদন্তের নামে মূল আসামিদের দৃশ্যপট থেকে সরিয়ে ফেলার চেষ্টা চালায় তদন্তধীন জোট সরকার। হাস্যকরভাবে প্রধান আসামি করা হয় জজ মিয়াকে। ঘটনার ১০ মাসের মাথায় ২০০৫ সালের ৯ জুন নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নের বীরকোট গ্রামের কালিমন্দির সংলগ্ন রাজা মিয়ার চা দোকান থেকে জজ মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।

এরপর আদালতে ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। কিন্তু সে জবানবন্দিতে প্রধান কুশীলবদের নাম না আসায় দেশজুড়ে শুরু হয় নিন্দার ঝড়। গণমাধ্যম এটিকে ‘জজ মিয়া নাটক’ হিসেবে অভিহিত করে। ২০০৮ সালে তাকে আসামির তালিকা থেকে বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র জমা দেয় সিআইডি। পরে আদালত এ মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেন। ২০০৯ সালে মুক্তি পান জজ মিয়া।

ওয়াইএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত