ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

দুর্বল তিতলি, পাহাড় ধসের আশঙ্কা

  চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০১৮, ১৮:০৩

দুর্বল তিতলি, পাহাড় ধসের আশঙ্কা

ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’ দুর্বল হয়ে ভারতের উড়িষ্যার স্থলভাগে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ভারী বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমশ দুর্বল হতে হতে বাংলাদেশের স্থলভাগের দিকে এগোচ্ছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

এমনকি ভারী বৃষ্টিতে চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কার কথাও জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। একই সঙ্গে সমুদ্র বন্দরগুলোতে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক জসিম উদ্দিন বলেন, লাগাতার বৃষ্টিপাতে এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামে কোথাও ভূমি ধস বা দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনা রোধে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সর্তক রয়েছে।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুল হান্নান বলেন, ‘নিম্নচাপের প্রভাবে শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ভারী বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে। লাগাতার বৃষ্টির প্রভাবে এসময় চট্টগ্রামের কোথাও কোথাও ভূমি ধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। আগামী রবিবার পর্যন্ত থেমে থেমে এই বৃষ্টি বর্ষণ চলবে।’

শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত কত মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দুপুর ১২টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।’

এর আগে মঙ্গলবার রাত থেকে পাহাড়ি এলাকাগুলো থেকে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদে সরিয়ে যেতে মাইকিং করেছে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের এই মাইকিং আজও চলছে।

জেলা প্রশাসনের স্টাফ অফিসার রমিজ আলম বলেন, ‘গতকালের মতো আজও মতির্ঝণাসহ আশপাশের এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। লালখান বাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এটি ছাড়াও নগরীর অন্যান্য পাহাড়ি এলাকায় আরও ৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা আছে।’

মতিঝর্ণা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমান। তিনি বলেন, ‘সকাল ১১টায় আমরা মতিঝর্ণা এলাকায় অভিযান শুরু করি। এরপর আশপাশের বাটালিহিল, পোড়া কলোনি ও একে খান এলাকায় অভিযান পরিচালনা করি। এপর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ৫ হাজার ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিকালে নগরীর বায়েজিদ, আমিন কলোনি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হবে।’

এদিকে, গত মঙ্গলবার রাত থেকে থেমে থেমে চলা এই বৃষ্টিতে নগর জীবনে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। নগরীর বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল কমে গেছে। খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাসা-বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। শুক্রবার ছুটির দিনেও একই অবস্থা বিরাজ করছে।

শুক্রবার ভোর থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে নগরীর কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় গোঁড়ালি থেকে হাঁটুপরিমাণ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টানা বৃষ্টিতে নগরীর বাকলিয়া, চকবাজার, হালিশহর, সিডিএ আবাসিক এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে নিম্ন আয়ের মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।

নগরীর লালখান বাজারে ফুটপাতে বসে ডিম বিক্রি করতেন আব্দুর রহিম। তিনি বলেন, ‘আগে প্রতিদিন এক থেকে দেড় হাজার টাকা বিক্রি হতো। কিন্তু গত তিন দিন তেমন বেচাকেনা নেই। রাস্তাঘাটে মানুষের সংখ্যা অনেক কম। এ কারণে বেচাকেনাও কম।’

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত