ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

কুষ্টিয়ায় শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

  কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০১৮, ১৯:২১

কুষ্টিয়ায় শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার রিফাইতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে নানা অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্কুলের ৩ জন শিক্ষককে ২০১২ সালের নিয়োগ দেখানো হলেও ৬ বছর পর চলতি বছরে তারা এমপিও’র আবেদন করলে বিষয়টি প্রকাশ পায়। এ নিয়ে এলাকায় চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।

প্রাপ্ত অভিযোগে জানা যায়, রিফাইতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সর্বশেষ ১৫ এপ্রিল ২০১২ সালে সোহেল রানা নামে একজন কৃষি শিক্ষককেই নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। ওই বছরই তিনি এমপিওভুক্ত হন। কিন্তু একই সময়ে আরো ৩ জনকে নিয়োগ দেখানো হয় তৎকালীন সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর জাল করে। এ কাজে প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে বর্তমান স্কুল কমিটির সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

জানা যায়, দৌলতপুর আসনের স্বতন্ত্র এমপি রেজাউল হক চৌধুরীর ভাই বুলবুল আহমেদ টোকন চৌধুরী প্রভাব খাটিয়ে ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হয়েছেন। এরপর ঐ বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাশেদ মাহমুদ খানের সহযোগীতায় জনপ্রতি ১০/১৩ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিলকিস নামে একজনকে ধর্মীয় শিক্ষক, মোঃ সাইফ সাহরিয়ারকে সহকারী শিক্ষক, ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাশেদ মাহমুদ খানের ছোট বোন শাফিনাজ মাহমুদকে সহকারী শিক্ষিকা হিসাবে ২০১২ সালের এপ্রিল ও মে মাসে নিয়োগ দেখানো হয়েছে। এবং চলতি বছরে আবেদনের পর তারা এমপিওভুক্ত হন।

অভিযোগে জানা যায়, তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান হারেজ উদ্দিন ঐ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও মোজাম্মেল হক প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন। তাদের স্বাক্ষর জাল করে ঐ তিন শিক্ষকের নিয়োগ দেখানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে তৎকালীন সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যন হারেজ উদ্দিন জানান, তার কাছে ঐ ৩ জনের নিয়োগের বিষয়ে লোক এসেছিল। কিন্তু তিনি কোন ধরনের অনিয়ম করতে রাজি হননি।

তৎকালীন প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হক জানান, তিনি চাকরি থেকে ২০১৬ সালে অবসর নিয়েছেন। অবসরের পরে একটি মহল তার কাছে ওই তিন শিক্ষকের নিয়োগপত্রে স্বাক্ষর করার জন্য প্রস্তাব দিলে তিনি তা নাকচ করে দেন।

একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বর্তমান সভাপতি এমপি রেজাউল হক চৌধুরীর ভাই বুলবুল আহমেদ টোকন চৌধুরী ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাশেদ মাহমুদ খান যোগসাজস করে তৎকালীন সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর জাল করে নিয়োগ ও এমপিওর কাগজপত্র তৈরি করেছেন।

এ ব্যাপারে বর্তমান সভাপতি বুলবুল আহমেদ টোকন চৌধুরীর ফোনে কল দিলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাশেদ মাহমুদ খান এর কাছে জানতে চাইলে এ ব্যাপারে স্পষ্ট কিছু না বলে স্বাক্ষাতে কথা বলার জন্য তিনি চায়ের দাওয়াত দেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হকের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, টোকন চৌধুরীর নির্দেশে আমি এমপিওর তালিকা পাঠিয়েছি। ২০১২ সালের নিয়োগ আর এমপিওর আবেদন ২০১৮ সালে কেন? জানতে চাইলে শিক্ষা অফিসার বলেন, বোঝেন তো ভাই, টোকন চৌধুরী বললে এমন কাজ না করে কি করবো।

বাংলাদেশ জার্নাল/কে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত