ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

বরগুনায় নির্মাণ হচ্ছে ৩০৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র

  বরগুনা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর ২০১৮, ১৮:৫৫

বরগুনায় নির্মাণ হচ্ছে ৩০৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র

বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে উপকূলীয় জেলা বরগুনার তালতলীতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০৭ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে আইসোটেক গ্রুপ।

আইসোটেক গ্রুপ সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতা পূরণে ৫০ শয্যার একটি হাসপাতালের নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছে তারা।

তালতলী উপজেলার ছোট নিশানবাড়ীয়ায় এই বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ইতোমধ্যে জমি অধিগ্রহণ এবং ভূমি উন্নয়নের কাজ পুরোদমে চলছে।

সূত্র জানায়, চলতি বছরের ১২ এপ্রিল বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় সংক্রান্ত (পার্চেস এগ্রিমেন্ট ও ইমপ্লিমেন্টেশন) চুক্তি সম্পন্ন করেছে আইসোটেক। প্রকল্পটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছে চীনের ‘পাওয়ার চায়না রিসোর্স লিমিটেড’ ও বাংলাদেশের আইসোটেক গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘আইসোটেক ইলেট্রিফিকেশন কোম্পানি লিমিটেড’। প্রকল্পটি ‘বরিশাল ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড’ নামে পরিচালিত হবে। মোট প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা (৫৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)।

সংস্থার মিডিয়া এডভাইজার ফিরোজ চৌধুরী বলেন, ওখানে বসবাসরতদের কথা চিন্ত করে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে।

২০২২ সালে শুরুতেই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি উৎপাদনে যাবে বলে জানিয়েছেন নির্মান প্রতিষ্ঠান আইসোটেক। মোট ৩০০ একর জমির উপর নির্মিতব্য এই প্লান্ট থেকে চুক্তি অনুযায়ী সরকারকে ২৫ বছর বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দর ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৭ টাকা। তবে কয়লার দরের সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের সর্বনিম্ন দাম হতে পারে ৪ টাকা। নির্মাণাধীন এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি টেংরাগীরি সংরক্ষিত বনাঞ্চল (ফাতরার চর) থেকে প্রায় সাড়ে ৬ কিলোমিটার এবং সুন্দরবন থেকে ২১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ফলে আইনানুযায়ী সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে দুই কিলোমিটার এবং সুন্দরবন (ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ) থেকে ১০ কিলোমিটার দূরত্বের বাইরে হওয়ায় ইতোমধ্যে বন বিভাগের অনাপত্তিপত্র পেয়েছে আইসোটেক।

এছাড়া নির্মাণাধীন প্রকল্প এলাকায় সরকারি কোনো খাস জমি নেই মর্মে ভূমি অফিস থেকে এবং প্রকল্প এলাকায় বন বিভাগেরও কোনো জমি নেই বলে বনবিভাগ ছাড়পত্র দিয়েছে। ইতোমধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের অবস্থানগত সার্টিফিকেট পাওয়ায় জমি অধিগ্রহণ, জমি ক্রয়, বাঁধ নির্মাণ, মাটি ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। এসব কাজ শেষে দেওয়া হবে স্থাপনা নির্মাণের ছাড়পত্র।

আইসোটেক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মঈনুল আলম বলেন, সরকারের সকল নিয়ম-নীতি অনুসরণ করে এই প্রকল্পের বাস্তবায়নের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে।

জেডআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত