ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২০ মিনিট আগে
শিরোনাম

সমুদ্র সৈকতে সম্প্রীতির অনন্য মিলনমেলা

  কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০১৮, ১৮:০২

সমুদ্র সৈকতে সম্প্রীতির অনন্য মিলনমেলা

প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টের বেলাভূমিতে সম্প্রীতির অনন্য মিলনমেলা বসেছে। দেশের বৃহত্তম এ বিসর্জন অনুষ্ঠানে শামিল হয়েছে।

সব ধর্মের লাখো মানুষ। সনাতন ধর্মের পুণ্যার্থী ছাড়াও এ মিলনমেলায় ছিলেন দেশি বিদেশি হাজারো পর্যটক। সৈকতে লক্ষাধিক মানুষের সম্প্রীতি সমাবেশে বাঁধভাঙা আনন্দ উল্লাসে মেতেছেন সবাই।

শুক্রবার পড়ন্ত বিকেলে সৈকতের পানিতে বিজয়ের অশ্রু রেখে দেবী দুর্গাকে বিদায় জানালেন হিন্দু সম্প্রদায়ের পুণ্যার্থী মানুষ। সনাতন ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, মহালয়ার দিন কন্যারূপে ধরায় আসেন দুর্গা। বিসর্জনের মধ্য দিয়ে তাকে এক বছরের জন্য বিদায় জানানো হয়। তাদের বিশ্বাস, এবারে দেবীর আগমন ও প্রস্থান তেমন কোনো শুভবার্তা বয়ে আনেননি।

তাদের পঞ্জিকা অনুযায়ী দেবী দুর্গা এবার ঘোড়ায় চড়ে এসেছিলেন। আর এমন আগমনের ফল হলো পৃথিবীতে প্রাকৃতিক বিপর্যয়, রোগ, শোক ও হানাহানি। ফিরে গেলেন দোলায় চড়ে। আর দোলায় চেপে তার বিদায়ের অর্থ হলো মড়ক। দেবী যে বার্তাই বয়ে আনুন না কেন, প্রতিবারের মতোই কক্সবাজার সৈকতের উন্মুক্ত মঞ্চে বসে সম্প্রীতি সমাবেশ। এরপর দেবী দুর্গার বিসর্জন দেওয়া হয়েছে।

কক্সবাজার ও পাশের জেলা থেকে বিকেল ৩টার পর থেকে ট্রাকে ঢাকঢোল পিটিয়ে ও বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে প্রতিমাগুলো আসতে থাকে সৈকতে। এসব প্রতিমা বহনকারী ট্রাকের সঙ্গে ছিলেন হাজারো ভক্ত।

সৈকতের খোলা মঞ্চে সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল। এতে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট রণজিত দাশ ও সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মা।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহেদ সরওয়ার সোহেল।

সমাবেশ শেষে শুরু হয় বির্সজন। এদিকে একই সময় টেকনাফের নাফ নদী, সমুদ্রসৈকত, রামুর বাঁকখালী নদী ও চকরিয়ার মাতামুহুরী নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত